মেধা দূরে ছিলে বুঝতে পারনি
আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক
আমার হয়তো একটু দেরী হয়ে গেছে
ফুল তুলতে শিশু কোলে তুলে নিতে
গর্তের ভিতরে সাপ–দেরী হয়ে গেছে!
অলস আমার সব অবোধ বোধের কাছে
হেরে গেছে বারবার পৃথিবীর গতি ও উন্নতি!
তোমার সরল হাতে একটু সরল স্পর্শ
অস্তমিত অভিসার তুলে দেবো
হয়তো সূর্যাস্তে গেছি–কী অবোধ!
হঠাৎ হারানো সূর্য বুকে এসে বিঁধেছে আমার
দেরী হয়ে গেছে!
সৃষ্টি এত সৌন্দর্যপ্রধান! সৌন্দর্য এমন ভীরু এমন কুৎসিত!
সাপ, খেলনা, নর্তকী, নদী ও নারী
বনভূমি, ফুল সমুদয় বস্তু, শিল্পকলা
এমন সুন্দর তারা, এমন কুৎসিত!
মানুষের যৌনসঙ্গম
মানুষীর যৌনসঙ্গম!
লিঙ্গ
ঘাড়
ঘৃণা
লোভ
সমস্ত মুচড়িয়ে আমি দেখেছি সুন্দর তারা আবার কুৎসিত!
ফলে দেহ ভেঙে পড়ে দেরী হয়ে গেছে
ফুল তুলতে শিশু কোলে তুলে নিতে
দেরী হয়ে গেছে!
শস্যগুচ্ছ মানুষের মিলিত উদ্যানে এত
উতরোল আকাক্ষাতন্তু,
লোভের ঘৃণার বলি, রক্তদাগ
যৌবনসঙ্গম যুদ্ধ উত্তেজনা, রাত্রি আর দিন!
সব অভিজ্ঞতা যেনো আমার বিলম্ব হেতু
মুছে গেছে মনোভূমি থেকে!
মাটির রং-এর কাছে মনীষার আজ তাই নুয়ে বলি :
আমাকে শেখাও ঋতু, শেখাও মৌসুম।
ভিত্তিভূমি : আমাকে শেখাও শিল্প, অভ্যুত্থান নীলিমা সঞ্চারী!
মিস্ত্রীর নৈপুণ্যে গড়া হে গভীর সারস শুভ্রতা :
আমাকে শেখাও শির উঁচু দালান শহর কৃতি সভ্যতা বিদ্যুৎবিভা,
আমাকে শেখাও!
দেরী হয়ে গেছে বৃক্ষ : পায়ে ধরি :–বলো
আমার ক্ষয়িষ্ণু জমি, কোন মহাদেশে গেলে
ফিরে পাবে সুরেলা সবুজ?
কেবল বিলম্বে এত অভিজ্ঞতা মুছে গেছে!
না হলে কি অহংকার আমারও ছিল না?
ছিল তবে তাকে আজো, স্পর্শ করিনি, মেধা
দূরে ছিলে, বুঝতে পারোনি।
ফুল তুলতে শিশু কোলে তুলে নিতে
গর্তের ভিতরে সাপ–দেরী হয়ে গেছে!
অলস আমার সব অবোধ বোধের কাছে
হেরে গেছে বারবার পৃথিবীর গতি ও উন্নতি!
তোমার সরল হাতে একটু সরল স্পর্শ
অস্তমিত অভিসার তুলে দেবো
হয়তো সূর্যাস্তে গেছি–কী অবোধ!
হঠাৎ হারানো সূর্য বুকে এসে বিঁধেছে আমার
দেরী হয়ে গেছে!
সৃষ্টি এত সৌন্দর্যপ্রধান! সৌন্দর্য এমন ভীরু এমন কুৎসিত!
সাপ, খেলনা, নর্তকী, নদী ও নারী
বনভূমি, ফুল সমুদয় বস্তু, শিল্পকলা
এমন সুন্দর তারা, এমন কুৎসিত!
মানুষের যৌনসঙ্গম
মানুষীর যৌনসঙ্গম!
লিঙ্গ
ঘাড়
ঘৃণা
লোভ
সমস্ত মুচড়িয়ে আমি দেখেছি সুন্দর তারা আবার কুৎসিত!
ফলে দেহ ভেঙে পড়ে দেরী হয়ে গেছে
ফুল তুলতে শিশু কোলে তুলে নিতে
দেরী হয়ে গেছে!
শস্যগুচ্ছ মানুষের মিলিত উদ্যানে এত
উতরোল আকাক্ষাতন্তু,
লোভের ঘৃণার বলি, রক্তদাগ
যৌবনসঙ্গম যুদ্ধ উত্তেজনা, রাত্রি আর দিন!
সব অভিজ্ঞতা যেনো আমার বিলম্ব হেতু
মুছে গেছে মনোভূমি থেকে!
মাটির রং-এর কাছে মনীষার আজ তাই নুয়ে বলি :
আমাকে শেখাও ঋতু, শেখাও মৌসুম।
ভিত্তিভূমি : আমাকে শেখাও শিল্প, অভ্যুত্থান নীলিমা সঞ্চারী!
মিস্ত্রীর নৈপুণ্যে গড়া হে গভীর সারস শুভ্রতা :
আমাকে শেখাও শির উঁচু দালান শহর কৃতি সভ্যতা বিদ্যুৎবিভা,
আমাকে শেখাও!
দেরী হয়ে গেছে বৃক্ষ : পায়ে ধরি :–বলো
আমার ক্ষয়িষ্ণু জমি, কোন মহাদেশে গেলে
ফিরে পাবে সুরেলা সবুজ?
কেবল বিলম্বে এত অভিজ্ঞতা মুছে গেছে!
না হলে কি অহংকার আমারও ছিল না?
ছিল তবে তাকে আজো, স্পর্শ করিনি, মেধা
দূরে ছিলে, বুঝতে পারোনি।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৬১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন