প্লাস্টিক ক্লিপের মতো সহস্র কোকিল যেই বনভূমি গেঁথে নেয়
সবুজ খোঁপায় ভোরবেলা- ময়ূরের পেখমের মতো খোলা রোদে বসে
ব্লাউসের বোতাম লাগিয়ে মিসট্রেস আসে ইশকুলে আর
কয় ঝাঁক বালকের নির্দোষ নিখিল ভরা ক্লাসরুমে এসেও সে শোনে
বনখোঁপা বাঁধা কোকিলের কাজল কূজন তার চুলে, চমৎকার
চিরোল গ্রীবায়, শেষে গৌর লাজুক শিয়রে শিহরিত শুধু
পেতে গিয়ে এক হারানো প্রেমের ঘ্রাণ, বয়ে নেয় সে তখন
কী যে এক আর্দ্র পরাজয় তার আত্মব্যস্ত অতীতের অথই সীমায়!
দেরি কোরে এসে ইশকুলে ক্লান্ত কর্ণেও ভরে নিতে হয় তাকে মাঝে মাঝে
হেড মিসট্রেসের শ্লীলতাবিহীন সাধুভাষা- আর তাই দেখে করুণাতে
আর্দ্র হও কখনো কি তুমি হে স্ট্রীট? বুঝে নিতে পারো তার বি
খ্যাত বেদনা? নারী, নারীই কেবল যদি বোঝে কোনো নারীর হৃদয়- তবে
তুমি ভূখণ্ডের মানে এই ঢাকা শহরের এক সবুজ তনয়া, নারী
তুমি কি বোঝোনা তার তিরিশ বছর কাল কুমারী থাকার অভিশাপ?
বোঝো না কি
তিরিশ বছর কত কাঁদায় যৌবন ঐ কোকিলের পাষণ্ড রোদন!
মিসট্রেস, কালো মিসট্রেস, করুণকোমল ঐ রোদনরূপসী মিসট্রেস!
যেনো কোনো রেফ্রিজারেটারে তার তুমুল হৃদয় রেখে আসে ইশকুলে,
ক্লান্ত! এখন অধীরা, যেনো কতদিন সে তার নিজের মুখ মোছেনা
আনন্দ অভিধায়!
অভিমানী, সর্বস্ব খোয়োনো ঐ মেয়ে
মানসিক শ্রমে জব্দ জীবনধারিণী!
ওকে দয়া করো,
হে ভোর,
হে স্ট্রীট,
শিশুক্লাস,
আর্ট খাতা,
বনের বিজন
সাঁঝবেলা!
বিষণ্ণ ও কুমারীকে দয়া করো!
দয়া করো!
দয়া করো!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন