কথোপকথন – ২৮

পূর্ণেন্দু পত্রী পূর্ণেন্দু পত্রী

– আমার আগে আর কাউকে ভালোবাসনি তুমি?
– কেন বাসব না? অনেক।
কৃষ্ণকান্ডের উইলের ভ্রমর
যোগাযোগের কুমু
পুতুলনাচের ইতিকথার কুসুম
অপরাজিত –র

– ইয়ার্কি করো না। সত্যি কথা বলবে।
– রোগা ছিপছিপে যমুনাকে ভালোবেসেছিলাম বৃন্দাবনে
পাহাড়ী ফুলটুংরীকে ঘাটশিলায়
দজ্জাল যুবতী তোর্সাকে জলপাইগুড়ির জঙ্গলে
আর সেই বেগম সাহেবা, নীল বোরখায় জরীর কাজ
নাম চিল্কা

– আবার বাজে কথার আড়াল তুলছ ?
– বাজে কথা নয়। সত্যিই।
এদের কাছ থেকেই তো ভালোবাসতে শেখা।
অনন্ত দুপুরে একটা ঘাস ফড়িং-এর পিছনে
এক একটা মাছরাঙার পিছনে গোটা বাল্যকাল
কার্পাস তুলো ফুটেছে
সেইদিকে তাকিয়ে দুটো তিনটে শীত–বসন্ত।
এইভাবে তো শরীরের খাল–নালায়
চুইয়ে চুইয়ে ভালোবাসার জল।
এইভাবে তো হৃদয়বিদারক বোঝাপড়া।
কার আদলে কী আর কোনটা মাংস, আর কোনটা কস্তুরী গন্ধ।

ছেলেবেলায় ভালোবাসা ছিল
একটা জামরুল গাছের সঙ্গে।
সেই থেকে যখনই কারো দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই
জামরুলের নিরপরাধ স্বচ্ছতা ভরাট হয়ে উঠেছে
গোলাপী আভার সর্বনাশে,
অকাতর ভালোবেসে ফেলি তত্ক্ষনাত্
সে যদি পাহাড় হয়, পাহাড় নদী হয়
নদী কাকাতুয়া হলে, কাকাতুয়া নারী হলে – নারী ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৪০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন