শরীর— অন্তহীন দ্বন্দ্বের এক অবিনাশী যন্ত্র
শ্বাস—অগম্য গহ্বরে অনাবিষ্কৃত সত্তার প্রবাহ,
নিস্তব্ধতায় ঘূর্ণিত, অস্থির বৃত্তে অনুভূতিগুলি,
শ্রান্ত অঙ্গের অপার্থিব ক্ষয়—
অসীম যন্ত্রণা, ক্ষীণ আত্মার স্বপ্ন ।
ত্বকে প্রতিধ্বনিত নিরব আত্মঘাতী আকাঙ্ক্ষা,
তীর্থপথে শূন্যতার অশুভ পদচারণা,
অস্থির অবয়বে বাঁধে বিভ্রান্তি—
তলদেশে সঞ্চিত কেবল ভ্রান্তির ছায়া,
সত্তার অবশ শরীরী দানবের তাণ্ডব।
দেহ, শত্রু, বন্ধু, প্রেম, পাপের মিথ্যে অস্তিত্ব,
শান্তির ধ্বনি কেবল বিক্ষিপ্ত, বিভ্রান্ত,
আত্মার গভীরে খুঁজে অবশ বোধের তৃষ্ণা,
অপরিমেয় আকাঙ্ক্ষা, চূড়ান্ত শুদ্ধতার জন্য—
দ্বন্দ্ব অন্তহীন, বিভ্রম বিহীন নিলয় ।
রক্তবিন্দুতে ঘনীভূত শত্রুতা, স্পর্শে যন্ত্রণা—
শরীরী দানব, তীব্র যন্ত্রণার রূপ, ক্ষুধা— পিপাসা,
অবলম্বন নয়, বাধ্যবাধকতা,
অহংকারের গভীরে লুকায়, আত্মা নিরুদ্দেশ,
দেহের দ্বন্দ্ব, অনবদ্য সংগ্রাম, অতলান্ত অস্তিত্বের প্রশ্ন।
বিচ্ছিন্নতা, অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্ম,
শরীরের প্রান্তে বিশ্রামের শূন্যতা— অজস্র সংকল্প,
আত্মা থেমে যায়, একাকী অসীমের দিকে,
অনিশ্চিত পথ বেয়ে, নিরন্তর চিহ্নিত করতে থাকে,
প্রশ্নের উত্তরের অভাব, প্রগতি হয়ে ওঠে ফাঁকা প্রাঙ্গণ।
দেহের মায়া— শর্তসাপেক্ষ বেঁচে থাকা,
অস্থিরতার শ্বাসবদ্ধ প্রলয়, আত্মাকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব,
দেহ ভুলে যায়, কোন বোধে বিশ্রাম নেবে,
ভঙ্গি, আকাঙ্ক্ষা, বিচ্ছিন্ন স্পর্শ—
দ্বন্দ্ব শান্তির পথে একটি অন্তিম সঙ্কেত ।
হৃদয়, ঘূর্ণায়মান অসীমের নকশা,
অশান্তির প্রত্যাশা, যুদ্ধের নিষ্ঠুর স্পন্দন,
উন্মোচন শরীরের দানবীয় একায়তা,
সম্ভব চিরতরে বিভক্ত—
বোধের শুদ্ধতা অসম্ভব, প্রেম হয় অভিশাপ।
দ্বন্দ্ব, শরীরী দানবের চিত্ত—
অবিরত সঙ্কল্প, দেহ, আত্মা,
সময় মিলিত সংকীর্ণ পথে,
অসীম ধ্বনি, ক্লান্তি থেকে মুক্তি পায় না,
আত্মার অন্ধকারের খুঁজে যায়, কেবল—অদৃশ্য আলো।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন