আফজাল সুয়েব

কবিতা - রত্নার শ্বাসে গড়ে ওঠা দিন

লেখক: আফজাল সুয়েব

কাঁদা রাস্তার শরীরে পা রেখে হেঁটে যাই,
ভোরের রোদ ভিজে থাকে আঙুলে আঙুলে,
পায়ের নিচে মাটি ডাকে—
ডাকে ফেলে আসা দিনের ছায়া।

রত্না নদী পাশ দিয়ে হাসে নীরবে,
কখনো সবুজ নীলচে, কখনো কেবলই অদৃশ্য ঢেউয়ের গন্ধ।
আমরা বইয়ের ব্যাগে ভিজে থাকা বর্ণমালা নিয়ে ভাসি,
হাওয়ার পিঠে বুনো হাসির মতো।

ডুবির হাওর খুলে রাখে তার স্তব্ধ জলঘর,
আলোর নিচে ডুবে যায় ঘাসের কান্না,
জলে দুলে ওঠে হারিয়ে যাওয়া শালুকের স্বপ্ন।
আমরা হাঁটি সেই জলরেখার মায়ায়—
জলে, মাটিতে, বাতাসে ঝুলে থাকা উন্মাদের মতো।

জামাই কাটা হাওর ওপারে মুখ গুঁজে কাঁদে,
তার জলে উড়ে যায় ছেঁড়া রৌদ্র,
ভাসে ভোরের অস্পষ্ট পাখি,
আর ডুবে থাকে হারিয়ে যাওয়া নামের ছায়া।

বর্ষায় উঠে আসে জল—
রাস্তা ডুবে ডুবে ওঠে হাঁটু, কোমর, কখনো বুক ছুঁয়ে।
আমরা সাঁতার কাটি শব্দহীন সুরের ভিতর,
পানির শরীরে আঁকি ভেজা বর্ণমালা,
আর হারিয়ে যাই ভোরের জলে গড়া কোনো অচেনা দেশে।

রত্নার ঢেউ ছুঁয়ে দেয় ভিজে স্বপ্নের ছায়া,
ডুবির নাভিমূলে ফুঁটে ওঠে নিঃশ্বাসের ফুল,
জামাই কাটার জলে গলে যায় ভুলে যাওয়া মুখ,
আকাশের বুক ভরে ওঠে হারিয়ে যাওয়া নামের ঘ্রাণে।

৩৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন