মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি,
চোখের নিচে রাতের রং।
সদ্য দাড়িগোঁফ গজানো এক তরুণের
বুকের ভেতর জমে থাকা হাহাকার,
কেউ দেখে না, কেউ বোঝে না।

হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে
একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস,
যা শুধু বাতাস জানে,
আর জানে নিঃশব্দ জানালা।

বন্ধুরা ভাবে—
বেশ তো! হাসিখুশি ছেলে!
কিন্তু তারা জানে না—
প্রতিদিন তার ভেতরে
একটা বিষণ্ণতা মরতে শেখে,
আবার বাঁচতেও শেখে।

রাতের পর রাত ঘুম আসে না,
মোবাইলের পর্দায় নীল আলো জ্বলে,
সে খোঁজে একটুখানি উপস্থিতি,
যে হয়তো বুঝবে
বিনা কথায় নিঃশ্বাসের ক্লান্তি।

চাঁদের আলোয় থেমে যায় মন,
চুপচাপ জিজ্ঞেস করে নিজেকে—
এমন একা হয়ে যাওয়াটাই কি বড় হওয়া?
নাকি এক মৃত্যু,
যেখানে মানুষ বেঁচে থাকে,
তবু নিঃশব্দে ফুরিয়ে যায় ধীরে ধীরে?

তবুও ভোর হয়,
তরুণটি আবার হাসে,
যেন কিছুই হয়নি।
কারণ একুশে বয়স,
দুঃখও রাখতে হয় চুপ করে,
ঠিক যেমন ভালোবাসা থাকে—
চুপচাপ, নিঃশব্দ।

– আতিকুর রহমান।
৫ অক্টোবর, ২০২৫।

পরে পড়বো
৫৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন