হাসপাতালের সজ্যায় তখন কতগুলো বিপন্ন মুখ
হলুদ আগ্নেয়গিরির ভাষায়
কথা বলছে কিছু মৃত্যুদুতের সাথে,
যারা বসবাস করে অভিজাত্য আতিথেয়তায়।
মৃত্যু আমার নিত্য সহবাসের সঙ্গী,
আমরা এক বালিশে ঘুমাই,
একই স্বপ্নে দেখি নিঃস্বতার ছবি,
নীরবে বিস্ফোরণ ঘটে আমরণ যন্ত্রনার।
দু’চোখ জুড়ে শুধু অনটনের মেঘ,
ক্ষুধার থালা ফাঁকা,
মেঘভাঙা বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনি!
তবুও
তোমার মুখে দেখি বিপ্লবের ছবি—
শিশিরভেজা ভোরের মতো শুদ্ধ,
সিন্ধু সেচে আনা মুক্তার মত!
হাসপাতালের শীতল সমুদ্রশয্যায়
আমার শিরায় ঢুকে পড়ে বিষ—
কেমোথেরাপির নয়,
এই বিষ সমাজের, রক্তে মেশানো
কঠিন পুঁজিবাদের নির্মমতা।
আমি পড়ি প্রতিদিন মানুষের মৃত্যু,
বিবেকের মৃত্যুর,
প্রতিটি নারীর শরীর ভাঙে ধর্ষকের আঁড় ভাঙা উচাটনে।
খবরের কাগজে মিছিলের ছবি বেরোয়,
আমরা কার্টিং করে রাখি দেওয়ালে,
ধর্ষণ বেঁচে থাকে হৃদপিন্ড ব্যাপী।
শহরের বাতিগুলো নিভে গেছে অনেক,
কচিকাচা শিশুদের মুখের রক্ত বমি
নেতাদের ঠোঁটে এঁকে দেয় আগামী প্রতিশ্রুতির বীভৎস জল প্রপাতের ঢেউ!
এ এক যুদ্ধের মানচিত্র।
প্রতিটি চরণে বারুদের গন্ধ,
প্রতিটি ছন্দে তার জেগে উঠার
দুর্বিসহ পূর্বাভাস।
……. ……
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন