একাডেমিক ডাউনফলের কোনো এক সন্ধ্যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে,
পাহাড়সম ভারী ভারী দীর্ঘশ্বাস ফেলা লোকটা;
আমি!
দীর্ঘশ্বাস গুলো এতোটাই ভারী যে ছ ফিট উচ্চতার আমাকে কখনোই ছাড়িয়ে যেতে পারে না!
বড়জোর মাথা অব্ধি পৌছায়।
হেমন্তের গা শিরশির করা বাতাস আমার দীর্ঘশ্বাসগুলোকে বইতে পারে না।
তাই এই মাঝরাত্রির নির্জনতায় আমি আকাশের নিচে শুয়ে থাকি।
তারা দেখি,চুপচাপ,বিনিদ্র চোখে।
ওই যে আকাশে সবচেয়ে জ্বলজ্বল করা যে তারাটা দেখা যায়….
ওইটা আমার আম্মা।
মনে হয় তিনি দূর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন,
চুপচাপ আমার দীর্ঘশ্বাস গুলো টেনে নিচ্ছেন নিজের ভেতর..
কিন্তু,আমি লুকিয়ে রাখি,
দেখতে দিই না..
যেভাবে আব্বার ভয়ে লুকিয়ে রাখতাম সিগারেট,প্রেমিকার প্রথম চিঠি!

একবার ইচ্ছে হলো, এই দীর্ঘশ্বাসের ওজন মাপি!
কিন্তু পারি নি..
সাহস হয়ে উঠে নি হৃদয়ের পাল্লা খুলে দেখার।

পরে পড়বো
২৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন