আমি স্বপ্ন দেখি-
পাহাড়ি শিশুর মুখে উচ্চারিত শব্দ
সংসদের করিডোরে ধাক্কা দিয়ে বলবে,
“আমাদের অস্তিত্ব কারও করুণা নয়,
আমরাও এই দেশের নাগরিক।”

আমি স্বপ্ন দেখি-
চা–শ্রমিক যখন মুখ খুলবে,
বাগানের দরজায় দাঁড়িয়ে বিশ্ব শুনুক।
মজুরি বাড়ুক, নাহলে লজ্জার ছায়া পড়ুক ক্ষমতার উপরে।

আমি স্বপ্ন দেখি –
নদী খুন হলে খুনিরা আর
পলায়ন করতে পারবে না,
মানুষের স্মৃতিতে তাদের নাম খোদাই হয়ে থাকবে
অপরাধীর মতো চিরকাল।

আমি স্বপ্ন দেখি—
গাছ কাটা মানে শাস্তি,
আইনের শুষ্ক পাতায় নয়
মাটির কাছে, বাতাসের কাছে,
ভাঙা পাখির বাসার সামনে।

আমি স্বপ্ন দেখি –
রাজনীতি হবে সেবার প্রতিজ্ঞা,
রিকশাওয়ালা, কৃষক, শ্রমিক –
রাস্তা, মাঠ, কারখানায় হোক
মানুষের শক্তি, মানুষের সিদ্ধান্ত।

আমি স্বপ্ন দেখি –
ধর্মের নামে মানুষ ভাগ করা বন্ধ হবে,
মুখোশধারীদের মুখোশ খুলে পড়বে,
এবং সাধারণ মানুষ বলবে এককণ্ঠে—
“ভাই, বিভাজনের ব্যবসা এবার শেষ।”

আমি স্বপ্ন দেখি –
বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্বাধীনতার ঘাঁটি,
যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে লিখবে
দেশের ভবিষ্যৎ, নিজের কলমে।

আমি স্বপ্ন দেখি –
ভোট হবে সত্যিকারের ভোট,
বাক্সের সামনে দাঁড়িয়ে ভয় নয়, গর্ব থাকবে;
নির্বাচন হোক মানুষের উৎসব,
ক্ষমতার লড়াই নয়, মানুষের জয়।

আর যদি কেউ বলে –
“এ সব স্বপ্ন বিপজ্জনক,”
আমি বলি,
বিপদের ভিতর দিয়েই জন্ম নিক
মানুষের বাংলাদেশ,
ন্যায়ের বাংলাদেশ,
একটি সত্যিকারের মুক্ত দেশ।

পরে পড়বো
৪০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন