মদনমোহন তর্কালঙ্কার

কবিতা - গণেশ বন্দনা

লেখক: মদনমোহন তর্কালঙ্কার

রাগিণী বিভাস, তাল একতালা

হে হরসুত ! বহু গুণযুত ! হর দুষ্কৃতি ভারং ।
হে গণপতি ! কুক সম্প্রতি, দুর্গতি অবহারং ।।
হে গজমুখ ! ভব সম্মুখ, ত্যজ বৈমুখভাবং ।
দেহি সুবিধি, হে গুণনিধি ! ভববারিধি নাবং ।।
আশতমখ ! সচতুর্ম্মুখ ! পূজিত সুখ পাদং ।
তং প্রতি নতি, কুক রে মতি !শতশঃ স্তুতিবাদং ।।
সংসৃতি কৃতি, স্থিতি সংহৃতি, কুকষে কতিবারং ।
হে পশুপতি! সুত মাংপ্রতি, কুক দুর্গতি পারং ।।
ভো ভবসুত ! কুক সন্তত, দূরিতং দ্রুত দূরং ।
রণ-পন্ডিত! গুণ-মন্ডিত ! সুখ-ভন্ডিত-পূরং ।।
ভূষিত-মণি -গন্ডিত-ফণি-মন্ডিত-মণিবন্ধং ।
গুণ-গুণ-নদ-বহু-ষট্ পদ-সূচিত-মদগন্ধং ।।
চঞ্চল-চল-মণিকুন্ডল-কিঙ্কিণী-কলনাদং ।
রাজিত-রজ, পদ নীরজ, মদন ব্রজ পাদং ।।

প্রার্থনা

পয়ার

গণপতি! বিনতি, প্রণতি তব পায় ।
মহিমা গরিমা সীমা, কেবা তব পায়?
অনবদ্য-বেদ-বিধি-বাদ-বেদ্য তুমি ।
মূঢ় হয়ে নিগূঢ় কি, বলিব হে আমি ?
সৃষ্টি-স্থিতি-হৃতি-কৃতি-প্রকৃতি-নিদান ।
কার্য্য হয়ে ধার্য্য কার্য্য, কি করি বিধান ?
অগতির গতি তুমি, পুরুষ প্রধান ।
প্রলয়ে বিলয় কর, নিলয় প্রদান ।।
কি করিব তব স্তব, ওহে গজানন!
যা বলিব তাই তুমি, জগত কারণ!
সুতরাং পুনকক্তি, উক্তি যুক্তি নয় ।
দেহি ভক্তি! যাতে ভুক্তি, চুক্তি মম হয় ।।
কি শক্তি প্রশক্তি আছে, অত্যুক্তি করণে ।
প্রণাম দিলাম ধাম দিও ও চরণে ।।
বিঘ্নহর ! বিঘ্ন হর এই বর দিবে ।
মদনে সদন দানে, বাম না হইবে ।।

২৪১
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন