অরন্ধন
তসলিমা নাসরিন
কৈশোর যেতে না যেতে সংসার শুরু তোমার
ভোর থেকে মধ্যরাত্তির গতর খাটো,
তিনবেলা রাঁধো, পাতে তুলে তুলে খাওয়াও
বাড়ির লোকদের, অতিথিদের,
এমনকী জলও ভরে দাও গ্লাসে।
ভাসো, ভেসে যাও −ঢঁকুরের টকে,
নিজে তুমি সবার শেষে।
যখন খেতে বসো, একা,
সঙ্গ দেয় বড় জোর পাড়ার নেড়িকুকুর।
সবাই বসে থাকুক খাবে বলে,
#কই গো, হল? দাও।
কি রেঁধেছো কী শুনি,
ইলিশ ভাজো, মাংসটা ভালো ভাবে কষাও,
আলু পোস্ত কর, কাসুন্দিটা দিও।
বেগুন ভাজা আছে তো! পটলের −দারমা করার কথা ছিল!
চিংড়ির কিছু করোনি! চিলি চিকেনের খবর কি? #
এসব শুনো না। কান দিও না।
এটোঁ আঁশটে বাসন থেকে দূরে সরে এসো তো,
ও মেয়ে সরে এসো,
আজ থেকে তোমার অরন্ধন শুরু হোক।
ভোর থেকে মধ্যরাত্তির গতর খাটো,
তিনবেলা রাঁধো, পাতে তুলে তুলে খাওয়াও
বাড়ির লোকদের, অতিথিদের,
এমনকী জলও ভরে দাও গ্লাসে।
ভাসো, ভেসে যাও −ঢঁকুরের টকে,
নিজে তুমি সবার শেষে।
যখন খেতে বসো, একা,
সঙ্গ দেয় বড় জোর পাড়ার নেড়িকুকুর।
সবাই বসে থাকুক খাবে বলে,
#কই গো, হল? দাও।
কি রেঁধেছো কী শুনি,
ইলিশ ভাজো, মাংসটা ভালো ভাবে কষাও,
আলু পোস্ত কর, কাসুন্দিটা দিও।
বেগুন ভাজা আছে তো! পটলের −দারমা করার কথা ছিল!
চিংড়ির কিছু করোনি! চিলি চিকেনের খবর কি? #
এসব শুনো না। কান দিও না।
এটোঁ আঁশটে বাসন থেকে দূরে সরে এসো তো,
ও মেয়ে সরে এসো,
আজ থেকে তোমার অরন্ধন শুরু হোক।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন