ভ্রমণ
শামসুর রাহমান
চড়ায় ঠেকেছে নাও আগে দাঁড়, বৈঠা কোথায় উধাও।
মাছ খেলা করে চার পাশে,
দমকা হাওয়ায় নড়ে ছেঁড়া পাল। ‘জড়ো করো
দড়িদড়া ভাঙা কাঠ। আবার বানাও নাঙা গায়
নতুন আঙ্গিকে নাও’ ব’লে দীর্ঘদেহী
পল এলুয়ার
এলেন নৌকোয় উঠে, ধরলেন হাল; মাঝিবেশে
তাঁকে দেখে একস্মাৎ মৃতকল্প সর্পিনীর মতো শুক্নো খাল
ফুঁসে ওঠে, নদী হয়, জল চিরে নৌকো
চলে প্রায় অক্ষরবৃত্তের টানে অজানার পানে।
আরো কিছু কথা এলুয়ার
জলের মতন স্বরে বলেন, সেসব কথার
মানে বোধাতীতে থেকে যায় একঝাঁক
পাখির ডানার অন্তরালে। দেখি নিই তিনি এই
গলুইয়ে, স্তম্ভিত আমি। নৌকো পাক খায় সীমাহীন
নদীর আবর্তে, ভেসে চলি বড় একা
অসহায় কুহকের মতো কুয়াশায়।
মাছ খেলা করে চার পাশে,
দমকা হাওয়ায় নড়ে ছেঁড়া পাল। ‘জড়ো করো
দড়িদড়া ভাঙা কাঠ। আবার বানাও নাঙা গায়
নতুন আঙ্গিকে নাও’ ব’লে দীর্ঘদেহী
পল এলুয়ার
এলেন নৌকোয় উঠে, ধরলেন হাল; মাঝিবেশে
তাঁকে দেখে একস্মাৎ মৃতকল্প সর্পিনীর মতো শুক্নো খাল
ফুঁসে ওঠে, নদী হয়, জল চিরে নৌকো
চলে প্রায় অক্ষরবৃত্তের টানে অজানার পানে।
আরো কিছু কথা এলুয়ার
জলের মতন স্বরে বলেন, সেসব কথার
মানে বোধাতীতে থেকে যায় একঝাঁক
পাখির ডানার অন্তরালে। দেখি নিই তিনি এই
গলুইয়ে, স্তম্ভিত আমি। নৌকো পাক খায় সীমাহীন
নদীর আবর্তে, ভেসে চলি বড় একা
অসহায় কুহকের মতো কুয়াশায়।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন