অন্ধকারে নদী
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নদী, তুমি অন্ধকার। এ যে রাত্রি
এ যে স্রোত বিপুল বহতা
তরঙ্গের চকিত ঝাপট, ঘূর্ণি, মাংসল স্বাস্থ্যের মতো জল
সেই রাত্রিকায় নদী—
শীত, ঘন কৃষ্ণপক্ষ; বাঁ হাত চেনে না ডান হাত
চোখ চেয়ে আছে, তবুও দেখে না
এত অন্ধকার যেন বাতাস চেনে না জল,
ভ্ৰমর হারায় ফুল,
মানুষ তো পথ হারাবেই,
শুধু শব্দ, স্রোত—
শব্দ থেকে নদীর নিশানা-আজও মনে পড়ে
সেই ছেলেবেলা
গভীরে নিশীথে নদী দেখা—
দেখা নয়, অমন আঁধারে কিছু দেখা হয়নি,
নদীর অস্তিত্ব
গ্ৰহণ করেছি বুকে-র্যাপারে শরীর ঢাকা পৌষের হাওয়ায়
বাঁধের ওপরে একা দাঁড়িয়েছিলাম।
মনে পড়ে সেই নদী।
নদী, তুমি এখনও তেমনি আছো।
দুর্দান্ত, সরব?
বালকের বাল্যকাল রহস্যে ভরাও
তুমি খেলাচ্ছলে প্রাণ হন্তারক
আর কোনো শীত মধ্যযামে, র্যাপার জড়িয়ে
আমি নদী দেখতে যাবো?
এ যে স্রোত বিপুল বহতা
তরঙ্গের চকিত ঝাপট, ঘূর্ণি, মাংসল স্বাস্থ্যের মতো জল
সেই রাত্রিকায় নদী—
শীত, ঘন কৃষ্ণপক্ষ; বাঁ হাত চেনে না ডান হাত
চোখ চেয়ে আছে, তবুও দেখে না
এত অন্ধকার যেন বাতাস চেনে না জল,
ভ্ৰমর হারায় ফুল,
মানুষ তো পথ হারাবেই,
শুধু শব্দ, স্রোত—
শব্দ থেকে নদীর নিশানা-আজও মনে পড়ে
সেই ছেলেবেলা
গভীরে নিশীথে নদী দেখা—
দেখা নয়, অমন আঁধারে কিছু দেখা হয়নি,
নদীর অস্তিত্ব
গ্ৰহণ করেছি বুকে-র্যাপারে শরীর ঢাকা পৌষের হাওয়ায়
বাঁধের ওপরে একা দাঁড়িয়েছিলাম।
মনে পড়ে সেই নদী।
নদী, তুমি এখনও তেমনি আছো।
দুর্দান্ত, সরব?
বালকের বাল্যকাল রহস্যে ভরাও
তুমি খেলাচ্ছলে প্রাণ হন্তারক
আর কোনো শীত মধ্যযামে, র্যাপার জড়িয়ে
আমি নদী দেখতে যাবো?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন