দৈতদ্বন্দ্ব
আবুল হাসান
যেমন হাতিকে খুব গভীর গহন বনে মনে হয় একমাত্র স্বাভাবিক
যেমন বনেই তার একমাত্র ‘বৃংহতি’ শব্দটি মানায়
যেমন প্রার্থিত ওষ্ঠের উষ্ণ অধীর কিনারে অধর ভিড়ানো হলো
প্রকৃত চুম্বন!
আমি হরিণকে লোকালয়ে হরিণ বলি না,
বলি অসহায় কোমল করুণ জন্তু।
যেমন পথ ভুললে পথিক আর পথিক থাকে না, হয় ক্লান্ত মানুষ!
যেমন ভিক্ষুকের পয়সা আমার পয়সার সাথে কখনো মেলে না।
যেমন মেঘের দিনে ‘বিষণ্ণতা’ শব্দটিকে মনে হয় একা।
ভালোবাসতে পারে যেমন কেবল ভালোবাসা,
আমি বকুল বৃক্ষকে বোকা খুনীর ঘরের পাশে
কখনো যেমন আর বকুল বলি না, বলি তার আচ্ছাদন
তার হতার হরিৎ পটভূমি।
যেমন যৌবন আজ যন্ত্রণায় আমার মনন বোধে, আমাকে খরচ করে
শেষকালে তৃপ্ত হয় আমারই মজ্জায়!
আজ আমিও কি তাই? তুমিও কি তাদের মতোন? নাকি
পাকেচক্রে অন্য কিছু অন্য কোনো কিছু
যেমন বনেই তার একমাত্র ‘বৃংহতি’ শব্দটি মানায়
যেমন প্রার্থিত ওষ্ঠের উষ্ণ অধীর কিনারে অধর ভিড়ানো হলো
প্রকৃত চুম্বন!
আমি হরিণকে লোকালয়ে হরিণ বলি না,
বলি অসহায় কোমল করুণ জন্তু।
যেমন পথ ভুললে পথিক আর পথিক থাকে না, হয় ক্লান্ত মানুষ!
যেমন ভিক্ষুকের পয়সা আমার পয়সার সাথে কখনো মেলে না।
যেমন মেঘের দিনে ‘বিষণ্ণতা’ শব্দটিকে মনে হয় একা।
ভালোবাসতে পারে যেমন কেবল ভালোবাসা,
আমি বকুল বৃক্ষকে বোকা খুনীর ঘরের পাশে
কখনো যেমন আর বকুল বলি না, বলি তার আচ্ছাদন
তার হতার হরিৎ পটভূমি।
যেমন যৌবন আজ যন্ত্রণায় আমার মনন বোধে, আমাকে খরচ করে
শেষকালে তৃপ্ত হয় আমারই মজ্জায়!
আজ আমিও কি তাই? তুমিও কি তাদের মতোন? নাকি
পাকেচক্রে অন্য কিছু অন্য কোনো কিছু
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন