মীরা বাঈ

আবুল হাসান আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক

ভজন গায় না, তবু কথা তার ত্রিকালের তাপিত ভজন,
যখোন জীবন কাটা রাখে তার পথে পথে
সে তখোন পায়ের তলায় বিদ্ধ ব্যথা নিয়ে নতুন নিয়ম পুষ্পিত।

ভুল বোঝে লোকে, ভাবে গরবিনী অথবা অস্থির অভিমানী :
কিন্তু আমি জানি তার হাতের উপর কেন উড়ে আসে
আহত পাখির দল মানুষ, মলিন চাষা, চীকৃত প্রসূন!

ভিতরে বিশাল এক মমতাক্ষমতা, জানে যুঁইফুল মাটির তলায়
কিসের আবেগে বাড়ে–কতটুকু সান্ত্বনার শিকড়প্রবাহে জাগে
পৃথিবীতে আজো সব ভালোবাসা, স্নেহ, প্রেম, শুভতা, শুভ্রতা।

নিজেই আহত : তবু লোকে ভাবে রয়েছে লুকোনো তার মঠোর ভিতর
কালকেউটের ঝাপি, লোহার করাত, ছুরি, ঘাতকের বিষ!

সে তার সুন্দর পোড়ে আর ওরা ভাবে দেখো জ্বালালো আগুন!

সে চায় সংসার, যাতে সুন্দরের বিন্দু বিন্দু বোধের চরকায়
সুতো কেটে দিন যাবে? কিন্তু ওরা তার পাহারায়
অদৃশ্যে এখনো আজো তুলে রাখে বজ্রপাত, লোকনিন্দা, লোলুপ ধিক্কার!

কেউই বোঝে না, তবু আছে আরো আকাঙ্ক্ষিত সুস্নিগ্ধ জগৎ :
যখোন মানুষ তাকে দুঃখ দেয়,
দলবেঁধে যখোন ঠোকরায় তাকে নষ্ট কিছু পাখি,
তখোন ঘাসের দিকে তাকাও–দেখবে ঘাস নতমুখ অপোবদনের
কিছু ভাষাম্নেহ লেগে আছে তৃষ্ণার্ত তরুর ঠোঁটে
ভোরবেলা শিশিরের মতো।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন