শৃন্বন্তু
আবুল হাসান | কাব্য - পৃথক পালঙ্ক
ছিলাম গুটি গণিকা-রেশম রাত্রি চাষে
বিগত দিন
কিছুটা দিন
ও কলুষ, ও ক্লেদ পুণ্য,
এবার শান্তিরস্তু–এবার শান্তি হোক!
ছিলাম তিবেতিয়ান সাধু গাঁজার গন্ধে সেব্য ক’দিন
জিভ ছুঁয়েছি জিউলী বিষে, জোনাক বিষে রাত্রিবেলা
উদর ভোলা গণিকা গুহায় বাস করেছি সাপের মতোন কিছুটা দিন :
মারিজুয়ানা বুঁদ কুহেলী
বিষের ছোবল রক্তে খালি
নুন ঢুকিয়ে বলেছি ‘পৃথ্বি ধ্বংস হোক।’
হে দ্যুতিমান প্রভু সকাল। হে ঊষা নীড় নীল অদিতি
আকাশযান,
পাপ যে এবার পুণ্যপ্রার্থী, আলোর অর্থ অন্ধকার!
মাথার খুলির মালিনা দ্বার
খুলে আবার পুনর্বার
ঢোকাও দেখি পুষ্পকিরীট
বৃক্ষবিহীন পোশাক দাও। নাও ফিরে নাও বিষের কীট!
আবার বলি ঝিরি সবুজ
আবার বলি ‘শান্তিরন্তু’-শান্তি দাও।
হে ব্যাধিব্যয় মদ্যপায়ী–মুক্তি চাইছি মুক্তি দাও
জ্যোত্সা-সরাইখানার রাত্রি, অনবরত তর্ক চাষ
বন্ধুকে ব্যাধ শত্রু ভেবে শক্রগলায় রাত্রিবাস,
সে সন্দেহ কুলষ কর্ম, দাও ধুয়ে দাও, এই ধুলোট
মৃত্তিকা ঠোঁট ভেঙ্গে বলি, শান্তিরন্তু, শান্তি দাও!
আর না হলে অনুশোচনায় অনস্থির
ছেদন করো আমার আত্মা, আমার শরীর জীর্ণতার!
এতদিনের অঙ্গ ঘিরে জড়ানো সব মদের ভাঁড়
ইচ্ছে হলে কুষ্ঠ দাও
অঙ্গে অঙ্গে বসুক পোকা, যেমন নষ্ট থোকা থোকা
ফুসফুসে সব মাংসাদী ক্ষয়, ধ্রুব আয়ুর অবক্ষয়!
হা প্রভু দাও অঙ্গে আমার মুক্তি জ্বালা,
ও শৃন্বন্তু অমৃতস্য পুত্র-মানুষ
শেষকালে কি এই অমানুষ?
ক্লোরিন ফেনায় তীব্র বেহুঁশ সমুদ্রে আর মাটির ভ্রুণে
আমার প্রভু পূর্ণতা দাও।
অমৃতস্য-পুত্র তোমার
সূর্যের আবার আদিবীজের মধ্যে না হয় ঢুকতে দাও,
‘শান্তিরন্তু’ শান্তি দাও।
বিগত দিন
কিছুটা দিন
ও কলুষ, ও ক্লেদ পুণ্য,
এবার শান্তিরস্তু–এবার শান্তি হোক!
ছিলাম তিবেতিয়ান সাধু গাঁজার গন্ধে সেব্য ক’দিন
জিভ ছুঁয়েছি জিউলী বিষে, জোনাক বিষে রাত্রিবেলা
উদর ভোলা গণিকা গুহায় বাস করেছি সাপের মতোন কিছুটা দিন :
মারিজুয়ানা বুঁদ কুহেলী
বিষের ছোবল রক্তে খালি
নুন ঢুকিয়ে বলেছি ‘পৃথ্বি ধ্বংস হোক।’
হে দ্যুতিমান প্রভু সকাল। হে ঊষা নীড় নীল অদিতি
আকাশযান,
পাপ যে এবার পুণ্যপ্রার্থী, আলোর অর্থ অন্ধকার!
মাথার খুলির মালিনা দ্বার
খুলে আবার পুনর্বার
ঢোকাও দেখি পুষ্পকিরীট
বৃক্ষবিহীন পোশাক দাও। নাও ফিরে নাও বিষের কীট!
আবার বলি ঝিরি সবুজ
আবার বলি ‘শান্তিরন্তু’-শান্তি দাও।
হে ব্যাধিব্যয় মদ্যপায়ী–মুক্তি চাইছি মুক্তি দাও
জ্যোত্সা-সরাইখানার রাত্রি, অনবরত তর্ক চাষ
বন্ধুকে ব্যাধ শত্রু ভেবে শক্রগলায় রাত্রিবাস,
সে সন্দেহ কুলষ কর্ম, দাও ধুয়ে দাও, এই ধুলোট
মৃত্তিকা ঠোঁট ভেঙ্গে বলি, শান্তিরন্তু, শান্তি দাও!
আর না হলে অনুশোচনায় অনস্থির
ছেদন করো আমার আত্মা, আমার শরীর জীর্ণতার!
এতদিনের অঙ্গ ঘিরে জড়ানো সব মদের ভাঁড়
ইচ্ছে হলে কুষ্ঠ দাও
অঙ্গে অঙ্গে বসুক পোকা, যেমন নষ্ট থোকা থোকা
ফুসফুসে সব মাংসাদী ক্ষয়, ধ্রুব আয়ুর অবক্ষয়!
হা প্রভু দাও অঙ্গে আমার মুক্তি জ্বালা,
ও শৃন্বন্তু অমৃতস্য পুত্র-মানুষ
শেষকালে কি এই অমানুষ?
ক্লোরিন ফেনায় তীব্র বেহুঁশ সমুদ্রে আর মাটির ভ্রুণে
আমার প্রভু পূর্ণতা দাও।
অমৃতস্য-পুত্র তোমার
সূর্যের আবার আদিবীজের মধ্যে না হয় ঢুকতে দাও,
‘শান্তিরন্তু’ শান্তি দাও।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন