তোমাদেরই তো হয় না, আমাদের কি দিবে?
মাগো, জননী আমার এ কোথায় জন্ম দিলি আমায়!
এখানে নিত্য ভোরের আকাশে সূর্য উঠে,
গাছে গাছে রক্তিম ফুলের সমারোহ,
জ্যোৎস্না ছড়িয়ে রাতের আকাশে চাঁদও উঠে,
এখানে প্রকৃতি চলে তারই নিয়মে,
তবুও কেন এই বন্দি জীবন?
কিছু ভুল মানুষের ভুল নিয়মের পালা বদলে,
গড়ে উঠেছে নিষ্ঠুর এই আসহায় জীবন।
মাগো তোর ছেলে আজ বড় হয়েছে,
বলতে শিখেছে, শুধু প্রতিবাদ করতে জানে না;
তোর ছেলের প্রাণে ভয় আছে,
শেষে যদি কোন নিষ্ঠুর আঘাত আসে!
ওরা তো বজ্র কণ্ঠে বলেই দিয়েছে,
‘আমাদেরই তো হয় না, তোদের কি দিবো?
তোরা তো সংখ্যালঘু’,
মাগো হৃদয়ের গহিনে রক্ত ক্ষরণ হয়,
ওরা যখন ব্যঙ্গ করে সংখ্যালঘু বলে,
মন আমাদেরও আছে, কষ্ট আমরাও পাই।
মাগো একটি বার চেয়ে দেখ্ বঙ্গ জননী আমার,
কতো অসহায় আমরা, তোরই এই জন্মভূমে;
আমরাও মানুষ, কিছু স্বপ্ন আমাদেরও আছে;
মাগো কেন তবে এই নিষ্ঠুর বিভাজন?
কেনইবা এই বঞ্চিত অসহায় জীবন?
কেনইবা প্রতিদিন যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা?
মাগো বাতাসে আজ তোর মাটি পচা গন্ধ ভাসে,
কিছু ভুল মানুষের নষ্টামিতে,
তোর স্বাধীনতায় আজ হাত পড়েছে,
কে বাড়াবে বন্ধুত্বের কোমল হাত?
মাতৃভূমি জননী আমার, প্রশ্ন আজি তোরই দ্বারে;
স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়েও,
পরাধীন কেন আজ তোরই ছেলে?
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন