সন্ধ্যা নামিল ধীরে ধীরে,
আকাশ মেঘে ঢাকা,
নিস্তব্ধতা কানে বাজে,
নেই যে চেনা রেখা।
দূরের বাঁশির করুণ সুরে,
মনে পড়ে ক্ষণ,
কে বা জানে কিসের ডাকে
শেষ হবে এই প্রাণ?
সেদিন যারে দেখেছিলাম,
কৃষ্ণচূড়ার তলে,
আজকে সে মাটির মানুষ,
নিস্তব্ধ ঘুমায় অতলে।
সেদিন যার শৈশব কাটে,
দূর বালুর চরে,
আজকে তার স্মৃতি শুধু,
ছায়ার মতো পড়ে।
কোথায় গেলো মুখের হাসি?
কোথায় স্বপনের গান?
সব যে মিশেছে মাটির নিচে,
থাকেনা তার প্রাণ।
হৃদয় ভাঙে, চোখের জলে,
ভিজে যায় আকাশ,
মৃত্যু বলে, “চলো এবার,
কেটে গেলো ত্রাস।”
বলতে চাইলাম—“একটু থামো,
আমার কত কাজ!”
হেসে বলে, “কাজ ফুরালো,
এটাই সত্যি আজ।”
মায়ের চোখে জল ঝরছে,
কাঁপছে বাবা ঘরে,
কে বোঝাবে জীবন থামে,
নিয়তির এই ছলে!
মাটির মানুষ, মাটির নিচে,
কেমন চুপটি থাকে,
কেউ কি ডাকে? কেউ কি দেখে?
বলো একবার ভেবে?
জীবন পাখি, উড়ে গেলে,
ফিরে কি আসে আর?
থাকে শুধু কবরে লেখা,
তারিখ, আর নামটি যে তার।
রাতে যখন বাতাস কাঁদে,
কাঁদে শূন্য মন,
যে ছিলো প্রাণের মাঝে,
সে আজ শুধুই অচেতন।
সুখের ঘরে আলোর মেলা,
হাসির কত গান!
কিন্তু শেষে কে আছে ,
আনতে পারে তার চলে যাওয়া প্রাণ?
পথের ধুলায় মিশে যায়
সবাই একদিন,
ছোট -বড় বিচার থাকে,
শুধুই কালের ঋণ।
তাই বলি হায়! এই জীবনে
গর্ব কিসের বল?
সবাই শেষে শুয়ে রবে,
অন্ধকার সে ঘর।
সেই কবরে ফুল ফোটে না,
গান গায় না কেউ,
শুধুই পড়ে শূন্য কঙ্কাল,
আঁধার নামায় ঢেউ।
তাইতো বলি, থামাও ওগো,
ঘৃণা, হিংসার এ সাজ,
শেষ ঠিকানা কোথায় তোমার,
বুঝবে সময় যখন হবে শেষ।
মাটির নিচে সবাই শুয়ে
একটি কথা কয়,
“ পাপাচার থেকে দূরে থাকো,
খোদাকে কর ভয়।”

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৪৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন