সকাল বেলায় কড়া নাড়ে দরজায় ,
মহাজন দরজা খুলিয়া দেখে,
গরিব রমেশ, কাঁদিতেছে সেথায়।
মহাজন বলে , ‘কাঁদিস কেন -রে ভাই?
রমেশ বলে, বিপদে পড়িয়াছি আমি,
আপনার কাছে কিছু টাকা ধার চাই,
মহাজন বলে, টাকা ধার হবে না যে ভাই ,
কিছু টাকা দিতে পারি সুদ মোর চাই।
গরিব রমেশ বলিল, আমি রাজি
তবু যে আমার টাকা চাই।
কিছুদিন পর, মহাজন গেল, রমেশের বাড়ি
বলে,রমেশ কোথায় আছিস ?বের হো তাড়াতাড়ি।
মূল টাকা লাগবে না মোর, সুদ আগে চাই।
রমেশ অনুরোধ করিয়া বলে,মহাজন
আর কটা দিন সময় দেন আমায়।
সুদসহ মূল টাকা ফিরিয়ে দিতে চাই ।
মহাজন বলে ওঠে, তোর মুখে,
এই কথা, আমি শুনিতে না আর চাই।
আজকেই তুই টাকা দিবি,
আমি কিছু বুঝিনা রে ভাই।
কি করিবে রমেশ ভাবিয়া না পায়।
বাড়ি-ছাড়া তার দেয়ার কিছুই নাই ।
গরিব রমেশ এবার নিরুপায় হয়ে,
বাড়ির দলিল মহাজন -রে দিল তুলে।
কয়েক বছর পার হয়ে যায়,
মহাজনের কোন খোঁজ নাই।
দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে ঋণ,
রমেশের চোখে কোনো ঘুম নাই ।
হঠাৎ একদিন হাজির মহাশয় ,
সাথে তার কত লোক- লস্কর ,
তাহার কোন যে হিসাব নাই,
মহাজন, রমেশ-রে ডাকিয়া বলে,
আজ হয় সুদসহ মূল টাকা দিবি,
আর না হয়, তোর বাড়ি দিবি আমায়।
রমেশ হাতে ধরে, পায়ে পড়ে, মহাজন
দয়া করেন আমায়,এই বাড়ি নিলে,
বউ,বাচ্চা নিয়ে আমি যাব কোথায় ?
মহাজন বলে, টাকা নেবার সময়,
তোর এই চিন্তা ছিল কোথায়?
কোনোক্রমেই, কোন কাজ না হলো।
গরীব রমেশ তার সব হারালো।
নিষ্ঠুর-নির্দয় মহাজনের ফাঁদে এমনই,
কত শত মানুষ, রমেশের মতো নিঃস্ব হয়?
এই পৃথিবীতে কবে ফিরবে আবার শান্তি?
নিষ্ঠুর সুদখোর ক্ষান্ত হবে একদিন ।
গরিবের আশা হবে উদয়, শান্তি নামবে ধরায়,
ন্যায়ের সূর্য উঠবে- উঠবেই সদয়!

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ৮৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন