মোহাম্মদ সিয়াম হোসেন

শিরোনাম: উস্তাদ গামিদি এ যুগের গ্যালিলিও গ্যালিলি

আলোচক: Author Avatar মোহাম্মদ সিয়াম হোসেন

{মূল লেখাটি ‘Is Javed Ghamidi The Galileo Galilei Of Our Age?’ শিরোনামে Kashmir life পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। মূল লেখক আজিজ-উল হক, তিনি একজন কলাম লেখক। তিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল মাল্টিমিডিয়া রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজক হিসাবে কাজ করছেন। আমি মূল লেখা থেকে সারনির্যাস সংগ্রহ করে নিজের মতো করে ভাবানুবাদ করেছি। মূল লেখক হয়তবা উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির ছাত্র নন। তবে আমি নিজেকে তার নগণ্য ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকি। এই ভাবানুবাদ উস্তাদের মহান কর্মের প্রতি এই নগণ্য ছাত্রের সামান্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মাত্র।}

উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ তিনি বিশ্বাসকে কোনো রূপকথার কাহিনী হিসেবে নয়,
বাস্তব সত্য হিসেবে উপস্থাপন করেন।
তার মর্যাদা আমাদের কাছে বেশি।
কারণ তিনি জ্ঞান চর্চার পথ আমাদের কাছে উন্মোচিত করেছেন;
যা আমরা অনেক পূর্বেই বেখেয়ালে বন্ধ করে ফেলেছি।
তিনি আমাদের কাছে সম্মানিত এজন্য যে, তিনি সত্য বলতে কখনো পিছপা হন না।

উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি হলেন এ যুগের গ্যালিলিও গ্যালিলি। অন্ধত্ব যখন পূর্ণতা পায় তখন দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ সমাজে অপরাধী! সেই হিসেবে তারা উভয়েই অপরাধী! তারা উভয়েই নিজেদের দেশবাসী দ্বারা নিপীড়িত। তাদের উভয়ের চ্যালেঞ্জ ধর্মকে যারা পুরোহিত তন্ত্রে আবদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের চিন্তা পৃথিবীকে ঝাঁকুনি দিয়েছে সত্য বলা ও শোনার জন্য।
বর্তমান যুগের বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির সাথে ১৬৪২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করা ইতালির মহান জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির তুলনা করা আমার জন্য বিতর্কের দ্বার উন্মোচন করবে। প্রকৃতপক্ষে আমি উস্তাদ গামিদি সাহেবের অন্ধ ভক্ত নই। কোনো চিন্তাবিদের পক্ষে বললেই তার অন্ধ ভক্ত বা অন্ধ অনুসারী হয় না।
পক্ষান্তরে গ্যালিলিওয়ের পক্ষে লেখার অর্থ এই নয় যে , আমি গ্যালিলিওবাদী । তবে হ্যাঁ, সত্য বলার ক্ষেত্রে কাউকে ভয় করে চুপ থাকলে চলবে না। প্রকৃত চিন্তাবিদরা রাজনীতিবিদদের মতো অনুসারী তৈরি করেন না। তারা ব্রেইন ওয়াশ করেন না। তারা আপনাকে শেখায়, তারা প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে বাধা দিবে না। তারা দ্বিমত করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়। শিক্ষার জগতে কোনো বীরের উপাসনা হয় না, আর না রয়েছে কোনো অনুসরণীয় দেবতা। শিক্ষার জগতে শুধু শিক্ষক আপনাকে শেখাবেন। তাই উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি আপনাকে চিন্তা করতে আহ্বান জানায়। তার অর্থ এই নয় যে, গামিদিবাদ নামে নতুন কোনো মতবাদ রয়েছে।

পাকিস্তান থেকে হিজরত করা আমেরিকা প্রবাসী মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ জাভেদ আহমেদ গামিদিকে নিয়ে আলোচনা করায় এটা প্রমাণিত হয় না যে, তিনি সবার থেকে শ্রেষ্ঠ। আমার দৃষ্টিতে তিনি শুধু আলোর মশালবাহী। তিনি কেবল আলো ফেলে দেয়, আর আমি নিজেই সেই আলোতে দেখতে পাই। এই আলো যদি আমাকে তার সমালোচনা করতে বাধ্য করে তবে আমি তা করতে সদা প্রস্তুত। আর এই আলো যদি আমাকে তার অনুরাগী হিসেবে তৈরি করে তবে আমি তাকে শ্রদ্ধা করবোই। এই আলোচনা কোনো ব্যক্তির অন্ধ ভক্ত হওয়ার রূপ প্রকাশ করে না, ব্যক্তি কেবল উদাহরণ। যেমন গ্যালিলিও গ্যালিলি একটি বাস্তব উদাহরণ। এরিস্টটল বলছিলেন, ‘আমি প্লেটোর অনুরাগী তাই তিনি আমার কাছে অধিক প্রিয়।’ আমিও বলবো আমি যদি উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির অনুরাগী হই, তবে তিনি আমার কাছে অধিক প্রিয়।

দুই রকমের জ্ঞান চর্চা হয়। এক প্রকারের জ্ঞান আপনার চিন্তার দরজা বন্ধ করেদিবে, আর অন্য প্রকারের জ্ঞান আপনার চিন্তার দরজা উন্মোচিত করবে। একটি আলো এবং অন্যটি অন্ধকার। একটি আপনাকে নিঃস্ব ‌করবে, অন্যটি আপনাকে পথ দেখাবে। উস্তাদ গামিদিকে নিয়ে যত বিতর্ক তার সমাধান যদি এই হয় যে, আমরা কিছুক্ষণের জন্য মেনে নিলাম পৃথিবীতে গামিদি বলতে কেউ নেই । তবে আমি বলবো বিতর্ক এখনো বাকি রয়েছে।

পৃথিবীর কেউ যদি গ্যালিলিওকে হেয় প্রতিপন্ন করে এতে তার মর্যাদা কখনোই ক্ষুন্ন হবে না। কারণ তিনি তার কর্মে বেঁচে আছেন। মানুষ তার কর্মে বেঁচে থাকে। উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির দৃষ্টান্ত ঠিক গ্যালিলিও গ্যালিলির মতো; তিনি বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাধ্যমে। কারণ তার চিন্তা-ভাবনার বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য করুন, এমন একটি আধুনিক পৃথিবীতে আমরা বসবাস করি যেখানে স্রষ্টার বিশ্বাসকে ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে বরখাস্ত করা হয়। ধর্ম এবং পরকালের বিশ্বাসকে মানব সৃষ্ট রূপকথার কাহিনী হিসেবে দেখা হয়। উস্তাদ গামিদি ধর্মকে একটি জীবন্ত বাস্তবতা এবং মানব জীবনের অপরিহার্য বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেন। আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে, স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য কোনো গামিদিকে প্রয়োজন। আমি শুধু তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিদের ধর্মের প্রতি ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জগুলির কথা বলছি।

আধুনিক সমাজেও আমরা মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। যেখানে ধর্মকে হয় গাজর হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল অথবা তীক্ষ্ণ লাঠি হিসাবে খোঁচা দেয়া হয়েছিল। নীটশে, রাসেল, ব্ল্যাকবার্ন, স্টিভেন পিংকার, পিটার হিচেনস, হ্যারিস, ডকিন্স সহ আধুনিক যুগে প্রভাব বিস্তারকারী অসংখ্য নিরীশ্বরবাদী চিন্তাবিদগণ ধর্মের প্রতি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কখনোই বালির ভিতরে মাথা লুকিয়ে থাকতে পারিনা। বর্তমান সময়ে নিরীশ্বরবাদী দার্শনিকদের ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসলামের পক্ষ নিয়ে যে সকল পণ্ডিত পোক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন এবং ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে পারেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি। আমরা মূলত চিন্তাবিদদের দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি এবং উস্তাদ গামিদির মধ্যে আমরা আশার আলো দেখতে পাই। তিনি চিন্তা ও জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করেন এবং বিশ্বাসকে অবিশ্বাসের যুক্তির বিপক্ষে চিকিৎসা হিসেবে উপস্থাপন করেন। ইসলাম ধর্ম শুধুমাত্র উপাসনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মানুষের জন্য অপরিহার্য অনুশীলন। মানব জীবনের উত্থান-পতন, ভালোলাগা, মন্দলাগা, কর্মের দিক থেকে পাপ-পুণ্য ইত্যাদি নিয়েই আমাদের জীবন গঠিত। ইসলাম আলোচনা করে মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো নিয়ে। এমন একটি সময় যেখানে মুসলিমরা উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ঠিক তখনই উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির আহব্বান শান্তির পথে। মূলত মহাকবি আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল (রহ) তার দর্শন ও চিন্তায় যে প্রতিশ্রুতি মুসলিমদের জন্য এঁকে ছিলেন উস্তাদ গামিদি তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার পথ দেখাচ্ছেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য যে ক্ষুধা তা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা যতটুকু জানি তা নিয়ে বসে আছি এবং নতুন কিছু জানতে গেলে তা হয় মহা অপরাধ! এমন অবস্থা যেন জ্ঞান অর্জন করা একটি মহাপাপ ! পক্ষান্তরে উস্তাদ গামিদি আমাদেরকে এই ট্যাবুর স্বাদ নিতে উৎসাহিত করেন।

শিক্ষার পরীক্ষাগারে প্রবেশের সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী ভিত্তি ধ্বংস করেন না। বরং সেই ভিত্তির উপর থেকেই তিনি জ্ঞান অর্জনের কাঠামোকে সংশোধন ও পুনর্গঠন করেছেন সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত পন্থায়। ইসলামি জ্ঞান অর্জনের সময় আমরা তৎকালীন সমাজ ও সংস্কৃতির পেক্ষাপটে মহান আল্লাহর কালামের মূল পটভূমি বুঝতে অসুবিধা করি। এর দরুন ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পথে অনেক বিভ্রান্তির শিকার হই। উস্তাদ গামিদি আমাদের সামনে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচার জন্য সঠিক পথ উপস্থাপন করেন। আল্লাহর নাম নিয়ে কথিত ইসলাম প্রচারকগণ যেখানে ইসলামকে একটি ভয়ঙ্কর উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, সেখানে উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি এই অজ্ঞতামুলক ব্যাখ্যার বাহিরে গিয়ে ইসলামকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন। উস্তাদ গামিদি ইসলামের কোনো নতুন ব্যাখ্যা দাঁড় করান না। ইসলাম যেমন আছে তেমনই তিনি আমাদের সামনে এর আদর্শ ও নৈতিকতা উপস্থাপন করেন। তার কাছে ওহী আসে না, আর না তার নিজস্ব দ্বীন দেয়ার মতো কোনো উপায় রয়েছে। যারা বাহ্যিক লেবাসকে তাকওয়ার ভিত্তি বলে দাবি করেন তাদের চেয়ে তার ঈমান অনেক বেশি শক্তিশালী। তার চিন্তা-দর্শন সম্পর্কে হয় আমরা জানি না অথবা আমরা জানি তবে আমরা বুঝতে পারি না বা আমরা বুঝতে পারি তবে গ্রহণ করি না বা আমরা গ্রহণ করি কিন্তু সত্যকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সততা প্রদর্শন করি না। ধর্মীয় ইস্যুতে আমরা আগ্নেয়গিরির মতো, শিথিলতা এবং বিনয়ের কোনো দৃষ্টান্ত আমাদের মধ্যে নেই। আর এগুলোর পক্ষে দেখা যায় ধর্মীয় বক্তাদের অসংখ্য যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করতে।

তারা উগ্রবাদীতার বিষবাষ্প ছড়ায় আল্লাহর নামে। একে অপরের মতবাদ সহ্য করতে পারে না। এই যখন আমাদের বর্তমান ধর্মীয় সংস্কৃতি। সেখানে উস্তাদ গামিদি নিজের সাথে দ্বিমত পোষণ কারীদের সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তিনি যাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন তাদেরকেও সম্মান করেন। উদাহরণ স্বরূপ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রহ) এবং সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহ), এই দুই মুনীষীর মতবাদের সাথে তার বুনিয়াদি মতভেদ থাকার পরেও তিনি তাদেরকে যথেষ্ট সম্মান করেন। উস্তাদ গামিদি কোনো বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলে; তিনি কেনো দ্বিমত পোষণ করছেন তার সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তিনি কোনো বিষয় প্রত্যাখ্যান করলে শুধু সহজ ভাষায় বলেন না যে, এটা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। বরং তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেই বলেন। তার ব্যাপারে বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু রয়েছে দাড়ি, নারী অধিকার ,হযরত ইসা (আঃ) ও ইমাম মাহদী ইত্যাদি। কিন্তু এগুলোর তিনি যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছেন এবং এ সকল বিতর্ক কখনোই ঈমানের বুনিয়াদকে নষ্ট করে না। তবে তার এ সকল বিতর্কিত ব্যাপারে আপনি অবশ্যই দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। দ্বিমত পোষণ করার অধিকার আপনার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু দ্বিমত পোষণ করার আগে আপনাকে দেখতে হবে উস্তাদ গামিদির যুক্তির মূল ভিত্তিটা কোন জায়গায়। তার যে সকল ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এ সকল ব্যপারে তিনি প্রথম কথা বলছেন এরকম নয় । তার পূর্বে অনেক মনীষী এ সকল ব্যপারে কথা বলেছেন।‌ কিন্তু আমাদের সমস্যা অন্য জায়গায়। আমরা কোনো বিষয় ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করি না। আমাদের উদাহরণ হলো মহা সমুদ্রে গুপ্তধন খুঁজতে গিয়ে বালতি সমান মানির মধ্যে ডুব দিয়ে বলি সমুদ্রে কোনো গুপ্তধন নেই। অনেকেই আছেন যারা কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে চটপট সমাধান দিয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে উস্তাদ জাভেদ আহমদ গামিদি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার সম্পর্কে যারা অবগত তারা এ ব্যাপারে কখনোই দ্বিমত পোষণ করতে পারবে না যে, তিনি কোনো ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে সেই বিষয়ে কথা বলে কখনোই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেন না।

উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত। তার নিকট থেকে যেকোন ধরণের শিক্ষার্থী ইসলামের শিক্ষা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারেন। একজন প্রকৃত শিক্ষক ও চিন্তাবিদের অবশ্যই স্পষ্টভাষী ও চিন্তায় স্বচ্ছ থাকা চাই। আর উস্তাদ গামিদি সত্য প্রকাশে স্পষ্টভাষী ও চিন্তায় স্বচ্ছ একজন ব্যক্তি। উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদি ঈমান ও সৎকর্মের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। তিনি ইসলামকে কুরআনের মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন, এর বেশি বা কম নয়। তাই তার গুরুত্ব আমাদের নিকট অবশ্যই রয়েছে এবং থাকাটাই সমীচিন। আলোচনা নাতিদীর্ঘ রাখতে চাচ্ছি; তাই এখানে ইতি টানা বাঞ্ছনীয়।নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (স) এর প্রতি শান্তির দোয়া। আল্লাহ আমাদের ইসলামের সঠিক উপলব্ধির তৌফিক দান করুন। সেই সাথে আল্লাহ উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদির ভুলগুলো মার্জনা করে সঠিক কর্ম গুলো কবুল করুন, আমিন।

এখন পর্যন্ত ডিসকাশনটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার
যদি ডিসকাশনটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন