কোনও কোনও বাড়ি লিন্টল পর্যন্ত উঠে থেমে যায়। ঢালাই হয় না। জানলা-দরজা বসে না। মাঠের প্রান্তে, গ্রাম শেষ হওয়ার মুখে ধুলোকালি মেখে দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ইটের গায়ে জমে কালচে শ্যাওলা। কে যে এর মালিক, কে যে একটা গোটা বাড়ি বানাতে গিয়ে মাঝপথে থেমে গেছে—অনেক খোঁজ খবর করলে তবে হয়তো জানা যায়। মালিকের কথা বাড়িটার অবশ্য মনেও থাকে না। তার মেঝে খুঁড়ে গর্ত বানিয়ে আগুন জ্বালে ছেলেরা, ফিস্টি করে। পোড়া দাগের ওপর ইট ঘষে ঘষে লেখা হয় সুমন+মল্লিকা আর কোনও একদিন অন্য এক মল্লিকার পাপড়ি দলে দেয় অন্য এক সুমন। সারা গ্রামের রাগ দেয়ালে দেয়ালে খিস্তি হয়ে ফুটে থাকে। যে বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে, যে বাড়ির জানলা-দরজা আছে, সে বাড়িতে কোনও ফিস্টি হয় না, সে বাড়িতে কেউ মল্লিকা দলে দেয় না। দেয়ালে লেখে না খিস্তি। এসবের জন্যে চাই লিন্টল পর্যন্ত উঠে থেমে যাওয়া একটা বাড়ি যে চায় ফিস্টি হোক,প্রস্তর যুগের শিলালিপির মতো দেয়ালে দেয়ালে লেখা হোক খিস্তি, প্রখর রৌদ্রের ভেতর পা টিপে টিপে একদিন সুমনের জন্যে এসে দাঁড়াক মল্লিকা।
মাঠের প্রান্তে, গ্রামের শেষে, তাই লিন্টল পর্যন্ত উঠে থেমে যায় একটা বাড়ি, আমার কবিতা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন