আজ দশমী।
মা ফিরে যাবেন কৈলাসে
আবার একবছর দিন গুনতে হবে
মায়ের আসার পথ চেয়ে।
স্বামীর ঘরে যাবার পর
মা আমাদের মনে রাখবেন তো?
তিনি ছাড়া আমাদের কাছে
এত আপন আর কে আছে?
মর্ত্যে এসে এই ক’টা দিন
তিনি আনন্দে মাতলেন
দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন
ধনে দৌলতে অন্নে বস্ত্রে আমাদের ঘর ভরালেন।
স্বর্গে ফিরে আমাদের সাথে কাটানো সময়ের কথা তাঁর মনে পড়বে না?
বিজয়ার সাথে সাথে তিনি কি সব ভুলে যাবেন?
না।
মা কাউকেই ভোলেন না।
তাঁর কাছে জাত ধর্মের কোনো ভেদাভেদ নেই,
এই বিশ্বের সকলেই যে তাঁর সন্তান।
তাই সন্তানকে কি মা কখনও ভোলে?
ভুল বুঝে তো সন্তানও মাকে ভুলে যেতে পারে
কিন্তু সন্তানকে কি মা কখনও ভোলে?
এই দশমীর দিনে
আমাদের চোখে জল দেখলে
মায়ের মন কি ভালো থাকবে?
মা মাটির প্রতিমা রূপে পূজিতা হন,
কিন্তু তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী।
তাঁর সেই ক্ষমতার কাছে
আমাদের মতো রক্তমাংসের মানুষদের তো কোনো ক্ষমতাই নেই।
বিজয়ার পরে তিনিই ফিরে আসেন লক্ষ্মী রূপে।
তাহলে, এই দশমীর দিনে চোখে জল কি মানায়?
লক্ষ্মীর পরে আবার তিনিই ফিরে আসেন জগদ্ধাত্রী রূপে।
তাহলে, এই দশমীর দিনে চোখে জল কি মানায়?
এভাবেই মাকে পূজা করা হয়
কখনও কালী রূপে
কখনও স্বরস্বতী রূপে
কখনও বা শিব রূপে।
শুধুমাত্র বিশ্বাসের পার্থক্যের জন্যই
আমরা ভিন্ন রূপে থাকা
‘এক ঈশ্বর’কে পুজো করে সন্তুষ্ট হই।
তাই এই দশমীর দিনে
দুঃখ ভুলে বলি আমরা একসাথে,
“জয়, দুর্গা মা কি জয়
আসছে বছর আবার হবে”।
— অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
২৩/১০/২০২৩
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন