বিনম্র শ্রদ্ধা
প্রাণ উৎসর্গ করা শহিদদের প্রতি
যাদের রক্তে আমাদের ভাষা পেয়েছে স্বাধীন স্বর।
রক্তাক্ত প্রভাত— অশ্রুসিক্ত ধূলিকণা— অমর প্রতিজ্ঞা,
প্রাণের বিসর্জনে লেখা অমর গাথা— আত্মত্যাগের গৌরব,
ভাষার জন্য আত্মাহুতি— অবিনশ্বর দীপশিখা ছুঁয়ে দেয় কালো ফলক,
শহিদের রক্তে রঞ্জিত অক্ষর অগ্নিশিখা হয়ে জ্বলে
বাংলা ভাষা— স্মৃতির প্রাচীরে খোদিত— চিরজাগ্রত ইতিহাস ।
শব্দের স্বাধীনতায় পথ ছিল কণ্টকময়, শাসকের নির্বিচার হুংকার,
সম্মুখ সমরে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল কিছু অবিনশ্বর প্রাণ,
আকাশের দিকে উঁচু তর্জনী— দৃঢ় বজ্রসম সংকল্প, শব্দগুলো ছিল অস্ত্র,
নিঃশ্বাসে জেগেছিল চিরঞ্জীব ভাষা, কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত ছিলো মুক্তির সুর,
মায়ের ভাষা— হৃদয়ের ভাষা— বাংলা আমার অধিকার”—ছিল চূড়ান্ত ঘোষণা।
সালাম-বরকত- রফিক- জব্বারের নামগুলো নক্ষত্রে জ্বলজ্বল,
রক্তিম অক্ষরে লেখা অবিনশ্বর অধ্যায়, এখনো গুঞ্জরিত একুশের আকাশ,
মায়ের ভাষার জন্য নিঃশঙ্ক আত্মদান, শিশুর কণ্ঠে পড়ে তাদের ছায়া,
রক্তধারা বয়ে আনে স্বাধীনতার স্রোত, গেয়ে ওঠে বাংলা—গর্বিত, অনির্বাণ,
বাংলা আমার ভাষা— মাতৃভাষা, উচ্চারণ করে এক পবিত্র শপথ।
বাতাসে ভাসে বিদ্রোহী রক্তের ঘ্রাণ, মাটি আজো বহন করে ত্যাগের গন্ধ,
প্রতিটি অক্ষর উচ্চারণ— একেকটি স্মারক, ত্যাগের গল্প লেখা কালের গায়ে,
ভাষার জন্য দেওয়া উৎসর্গ মহাপ্রাণ, জাতির আত্মপরিচয়ের ভিত্তিপ্রস্তর,
একটি ভাষা শুধু কথা নয়, শেকড় গেঁথেছে গভীরে—অস্তিত্বের পরিচয়,
শহিদের রক্তে ধোয়া চিরকালীন বাংলা—একটি জাতির হৃদয়ের নাম।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন