কারে বলি সখী!

বোরহানুল ইসলাম লিটন বোরহানুল ইসলাম লিটন

বৈকাল বেলা সুরুজ নামলে ন্যাড়া পাকুড়ের ঘাড়ে,
বাছুরের টানে ছুটে নাকো ধেনু মেঠো পথে হাহাকারে।
করে কি কলহ শালিকের ঝাঁক!
সুদূরে হারায় ভুখা নলকাঁক
নীরদও যে খুঁজে আপনার মান ছিন্ন আঁচল পাতি!
কারে বলি সখী হৃদয়ের ব্যথা কারে বলি ’আয় মাতি!’

অবারিত মাঠে ফসলের ঢেউ রচে না সজীব সাড়া,
শ্যামলা বরণ বনানীর বুক হয়তো দিয়েছে ভাড়া।
লালিত বাসনা বালুচরে এঁকে
প্রজাপতি ধায় ফড়িঙেরে হেঁকে
তবুও খ্যালে কি ফিঙে আর কাক স্বভাবে চড়ুইভাতি!
কারে বলি সখী হৃদয়ের ব্যথা কারে বলি ’আয় মাতি!’

ঘুড্ডির মতো নীলাকাশে চিল কোথায় রয়েছে বেঁচে!
বাঁশরির সুরে গোধূলির মাজা উঠে না ক্ষণিক নেচে।
দখিনা সমীর খোয়ে তাজা খলা
পথে পথে মাঙে স্বীয় কান মলা
সুরেলা বাদল ঘুরে বনবাসে না পেয়ে ব্যাঙের ছাতি-
কারে বলি সখী হৃদয়ের ব্যথা কারে বলি ’আয় মাতি!’

জ্যোৎস্নার ধারা সিনান করে না তটিনীতে শুনে নেমে,
হুতোম পেঁচার জ্বল জ্বলে আঁখি বাঁশঝাড়ে গেছে থেমে।
খাগড়ার মতি ক্ষয়ে ক্ষয়ে কায়া
নিরালায় মথে জোনাকির মায়া
শৃগালও বিদায়ে সাথে নিয়ে গেছে ডাহুক ছানার খ্যাতি-
কারে বলি সখী হৃদয়ের ব্যথা কারে বলি ’আয় মাতি!’
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন