কথপোথন-৩
দর্পণ কবীর
ঃ তুমি হাত বাড়ালেই আকাশ ছুঁতো পারো! কিন্তু আমি
জানি, তুমি ছুঁয়ো দেখোনি। তোমার কল্পনা ছাপিয়ে
যায় জীবনের সব অস্পূর্ণতাকে। আর তোমার আকাশ ছোঁয়ার
সাহস আর ধ্রুপদী কল্পনা আমাকে ছুঁয়ে যায়।
ঃ তুমি আছো বলেই আমার কল্পনার আকাশ সীমাহীন
দিগন্ত ছাড়িয়ে আরো দূর, বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তোমার
ভালোবাসা আমার কল্পনার রঙ, তোমার সান্নিধ্য
আমাকে সাহসী করে তোলে।
ঃ তাই বলে তোমার সাহসকে সব সময় প্রশয় দেয়া যায় না।
ঃ কেনো?
ঃ প্রায়ই তোমার ঐ সাহস দুঃসাহসে পরিণত হয়।
আমার উপর ঝড় বয়ে যায় তখন।
ঃ হা-হা-হা। হাসালে। মাঝেমাঝে আমার মনে
হয় তুমি শান্ত সৈকত, আর আমি উত্তাল
সমুদ্র। তোমার নিবিড় সান্নিধ্যে আমি ঢেউ হয়ে
যাই। আছড়ে পড়ি তোমার ওপর।
ঃ আবারো কথায় মায়াজাল বুনছো!
ঃ মানে?
ঃ মানে খুব সহজ। সমুদ্রের ঢেউ নয়, জলোচ্ছ্বাস হয়ে
তুমি আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও। থামাতে চায়না
যেন তোমার আগ্রাসন। নয়?
ঃ অভিযোগ করছো? আমার আগ্রাসন কি তোমাকে
আপ্লূত করেনা কখনো? সত্যি করে বলো তো?
ঃ তোমাকে তা বলা যাবে না। তবে মিনতি করছি,
সামলে রাখো তোমার আবেগের উনুন। নইলে
হয়তো একদিন পুড়ে খাঁক হয়ে যাবো আমি।
ঃ তোমাকে পুড়িয়ে সেদিন বলে দেবো-কেন
নিখাঁদ বিরহে মরে যায় নদী। পাহাড়ের
একাকীত্ব কেন শিল্পীত সুন্দর। দমকায় হাওয়ায়
কেন কাব্যময় হয়ে ওঠে ঝাঁঝালো দুপুর।
হাতছানি দিয়ে ডাকে কেন ধূসর দিগন্ত।
ঃ আগ্রাসী পুরুষ যখন কথার মায়াজাল বুনে, তখন
খরস্রোতা নদী কী করে সামলাবে বলো
চলমান জলধারা? আমাকে তুমি এভাবেই টেনে
নিয়ে যাও ভালোবাসার সম্মোহনে।
ঃ ভালোবাসার সম্মোহনের অপর নাম ভালোবাসার সমর্পণ।
এখানে ‘ভালোবাসা’ দায় হয়ে যায়।
ঃ ভালোবাসার দায় বলো কিংবা অসহায় সমর্পণ বলো
আমার কাছে এর গুরুত্ব কম নয়। তোমার রাগ
কিংবা মায়া, আবেগ কিংবা অভিযোগ, হাসি
কিংবা কান্না-যতরকম প্রকাশ তোমার, সবটুকুই
আমার কাছে একেক রকম ভালোবাসা। এই
ভালোবাসা আমাকে দিয়েছে কল্পনার অসীম শক্তি।
তাই, আমি আকাশ ছোঁয়ার সাহস রাখি।
জানি, তুমি ছুঁয়ো দেখোনি। তোমার কল্পনা ছাপিয়ে
যায় জীবনের সব অস্পূর্ণতাকে। আর তোমার আকাশ ছোঁয়ার
সাহস আর ধ্রুপদী কল্পনা আমাকে ছুঁয়ে যায়।
ঃ তুমি আছো বলেই আমার কল্পনার আকাশ সীমাহীন
দিগন্ত ছাড়িয়ে আরো দূর, বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তোমার
ভালোবাসা আমার কল্পনার রঙ, তোমার সান্নিধ্য
আমাকে সাহসী করে তোলে।
ঃ তাই বলে তোমার সাহসকে সব সময় প্রশয় দেয়া যায় না।
ঃ কেনো?
ঃ প্রায়ই তোমার ঐ সাহস দুঃসাহসে পরিণত হয়।
আমার উপর ঝড় বয়ে যায় তখন।
ঃ হা-হা-হা। হাসালে। মাঝেমাঝে আমার মনে
হয় তুমি শান্ত সৈকত, আর আমি উত্তাল
সমুদ্র। তোমার নিবিড় সান্নিধ্যে আমি ঢেউ হয়ে
যাই। আছড়ে পড়ি তোমার ওপর।
ঃ আবারো কথায় মায়াজাল বুনছো!
ঃ মানে?
ঃ মানে খুব সহজ। সমুদ্রের ঢেউ নয়, জলোচ্ছ্বাস হয়ে
তুমি আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও। থামাতে চায়না
যেন তোমার আগ্রাসন। নয়?
ঃ অভিযোগ করছো? আমার আগ্রাসন কি তোমাকে
আপ্লূত করেনা কখনো? সত্যি করে বলো তো?
ঃ তোমাকে তা বলা যাবে না। তবে মিনতি করছি,
সামলে রাখো তোমার আবেগের উনুন। নইলে
হয়তো একদিন পুড়ে খাঁক হয়ে যাবো আমি।
ঃ তোমাকে পুড়িয়ে সেদিন বলে দেবো-কেন
নিখাঁদ বিরহে মরে যায় নদী। পাহাড়ের
একাকীত্ব কেন শিল্পীত সুন্দর। দমকায় হাওয়ায়
কেন কাব্যময় হয়ে ওঠে ঝাঁঝালো দুপুর।
হাতছানি দিয়ে ডাকে কেন ধূসর দিগন্ত।
ঃ আগ্রাসী পুরুষ যখন কথার মায়াজাল বুনে, তখন
খরস্রোতা নদী কী করে সামলাবে বলো
চলমান জলধারা? আমাকে তুমি এভাবেই টেনে
নিয়ে যাও ভালোবাসার সম্মোহনে।
ঃ ভালোবাসার সম্মোহনের অপর নাম ভালোবাসার সমর্পণ।
এখানে ‘ভালোবাসা’ দায় হয়ে যায়।
ঃ ভালোবাসার দায় বলো কিংবা অসহায় সমর্পণ বলো
আমার কাছে এর গুরুত্ব কম নয়। তোমার রাগ
কিংবা মায়া, আবেগ কিংবা অভিযোগ, হাসি
কিংবা কান্না-যতরকম প্রকাশ তোমার, সবটুকুই
আমার কাছে একেক রকম ভালোবাসা। এই
ভালোবাসা আমাকে দিয়েছে কল্পনার অসীম শক্তি।
তাই, আমি আকাশ ছোঁয়ার সাহস রাখি।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন