এক অমবশ্যার রাত এসে আমার কাছে চাইলো
জোনাকীর আলো অথবা নক্ষত্রের পতনের
অহংকার। আমার স্বপ্নভাঙা অনুচ্চারিত বেদনাকে
পেঁচার আর্তনাদ ভেবে মুঠোবন্দি
করে নিল অনায়াসে। ঘুম না আসা চোখের
কার্নিসে ঘন অন্ধকার রেখে বেহিসাবী
রাত বললো, ‘মোহগ্রস্থ জীবন আলোর তীর্যকে অন্ধ।’
আমি সূর্য পিপাসী জানালা বন্ধ করতে যেয়ে
দেখি, অস্তে ডুবে যাওয়া সূর্য হাঁটু গেড়ে বসে আছে
নিকষ অন্ধকারের গহীনে!
আলোর ফাঁদে কে হারিয়েছে পথ, কীভাবে আটকে
গেছে মনোরথ, গন্ধম খাওয়ায় কতটা পাপ,
তোমাকে ছুঁয়ে বির্বণ করায় কতটা
তোমার অনুতাপ-আঁধারের কাছে এ সবের
কৈফিয়ত দিচ্ছে সূর্যদেবতা! আমি বিস্ময়ে
অমবশ্যার রাতকে বলি, ‘তুমি কি চাও
আমি জোনাকীর মত জ্বলি?’ খিলখিলিয়ে হাসে
রাত, অনুভবে পেখম ছড়ায় বিরহের অবসাদ।
অন্ধকারের বিহবলতায় নতমুখে দেখি, করতলগত
আলোর ফানুস কবেই হয়েছে মেকী! রাতের
কাছে রিক্ত দু’হাত বাড়াই, তোমার কাছে
পৌঁছুবো বলে আবার উঠে দাঁড়াই। কালো রাত
বলে, ভালোবাসা আছে বলেই চাঁদের লণ্ঠন জ্বলে!
রাতের কাছে প্রশ্ন রাখি, ‘কত করলাম ঈশ্বর
ডাকাডাকি, তবু কেন আমার খাতায় শুভঙ্করের
ফাঁকি?’ জবাব পাইনা এর, রাত ফুরালে
তোমার নামে সূর্য উঠে ফের।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন