মেঘনা নদীর কথা
কবি ইমদাদ শাহ্
মেঘনা নদীর কথা
ইমদাদ শাহ্
এই নদীটি আমার চেনা
রক্ত দিয়ে কেনা
এই নদীতে লাখো শহীদের
রক্ত বীজ বুনা
মুক্ত স্বাধীন নদী তার
আপন চলার পথে
এই নদীটি কেঁদে ওঠে
রক্তের খর স্রোতে
তীরে তীরে গড়ে উঠে
নগর সভ্যতা
এই নদীটির গহীন জলে
অধীর দুঃখ কথা
এই নদীটি জলে ভরা
জলের নায়
জলের ঘুঙুর নির্ঘুটে
যেন বেজে বেজে যায়
এই নদীটি আমার চেনা
নিত্য করি লেনা দেনা
এই নদীটির পথের বাঁকে
গায়ের বধূর কালসী কাঁখে
কোথাও নদী রুক্ষ চর
কোথাও জলের তেপান্তর
এই নদীটির পথের বাঁকে
রক্ত ঘাম লুকিয়ে থাকে
হারিয়ে সব নিঃস্ব
জেলা রূপে কৃষক আজ
নদীই তার বিশ্ব
এই নদীটি পড়ন্ত
এই নদীটি দূরন্ত
এই নদীটি বৃদ্ধ প্রবীণ চির যৌবনা
এই নদীটি ডানপিটে উদার মুক্ত মনা
এই নদীটির করাল গ্রাস
এই নদীটির রুদ্র শ্বাস
এই নদীটি চির স্বাধীন
কোথাও নেই মানা
এই নদীতে সূর্য উঠে সূর্য ডুবে
জোয়ার ভাটায় নিত্য রবে
এই নদীটির শাখায় শাখায়
পোড়া বাড়ির জল ঢাকায়
এই নদীটির ত্রিমোহনা
যেন পদ্মা মেঘনা যমুনা
শাখালীন দূর দূরান্ত ছুটে চলে রক্ত পথে
ঢেউ গুলো আছরে পরে জনপদে
চারি পাশে সুজলা শস্য শ্যামলা
এই নদীকে নিয়ে তাই দুঃখ কথার মালা
নৌকা চলে নদীর বুকে
গানের সুর মাঝির মুখে
যৌবন বেগে জোয়ার আসে
ভাটায় ভাটায় যায় শেষে
চলার পথের নেই ত শেষ
তাই তো নদী মাতার বাংলাদেশ
এই নদীটির জোয়ার ভাটা
এই নদীটির বুকের পাটা
এই নদীটির জলের নৃত্য
আমার হৃদয় মর্ম চিত্ত
ঢেউ গুলো নেচে নেচে
কুল ভাঙে যে কার
বান বাদলের ধারাগুলো
আজ করেছে কারবার
এই নদীটির বাঁকে বাঁকে
রূপালী মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে
এই নদীটি চিত্র রূপী
আকাশ নদী বহুরূপী
মধুর হিমেল দমকা বাতাস
ডুব দিয় যায় বুনো হাঁস
ঝড় বাদলের দিনে
নদীকে কেউ কি চিনে
নদীতে চলে স্টীমার
বনিক ধনিক কারবার
ঝড় বাদলে ফুলে উঠে
থৈথৈ করে জলের স্রোতে
নদীর দুই কুলে সারি সারি
বৃক্ষেরা দাঁড়িয়ে করে জড়াজড়ি
কৃষানের ফসলী মাঠ
গ্ৰাম গঞ্জ বাজার হাট
পেরিয়ে চলে অবিরত
নৌকা জুড়ে জলের নৃত্য
ছুটে চলে দিগন্তের পথ ধরে
কত কাল কত বছর পরে
রক্তের শিরা উপশিরার মত
পদ্মা মেঘনা বিশালক্ষী যমুনা
রূপালী বাংলাদেশ তেরোশ নদীর মোহনা
হে নদী তোমার গর্ভে বিলীন কত সভ্যতা
হে নদী তোমার তরে তাই অধীর দুঃখ কথা
ইমদাদ শাহ্
এই নদীটি আমার চেনা
রক্ত দিয়ে কেনা
এই নদীতে লাখো শহীদের
রক্ত বীজ বুনা
মুক্ত স্বাধীন নদী তার
আপন চলার পথে
এই নদীটি কেঁদে ওঠে
রক্তের খর স্রোতে
তীরে তীরে গড়ে উঠে
নগর সভ্যতা
এই নদীটির গহীন জলে
অধীর দুঃখ কথা
এই নদীটি জলে ভরা
জলের নায়
জলের ঘুঙুর নির্ঘুটে
যেন বেজে বেজে যায়
এই নদীটি আমার চেনা
নিত্য করি লেনা দেনা
এই নদীটির পথের বাঁকে
গায়ের বধূর কালসী কাঁখে
কোথাও নদী রুক্ষ চর
কোথাও জলের তেপান্তর
এই নদীটির পথের বাঁকে
রক্ত ঘাম লুকিয়ে থাকে
হারিয়ে সব নিঃস্ব
জেলা রূপে কৃষক আজ
নদীই তার বিশ্ব
এই নদীটি পড়ন্ত
এই নদীটি দূরন্ত
এই নদীটি বৃদ্ধ প্রবীণ চির যৌবনা
এই নদীটি ডানপিটে উদার মুক্ত মনা
এই নদীটির করাল গ্রাস
এই নদীটির রুদ্র শ্বাস
এই নদীটি চির স্বাধীন
কোথাও নেই মানা
এই নদীতে সূর্য উঠে সূর্য ডুবে
জোয়ার ভাটায় নিত্য রবে
এই নদীটির শাখায় শাখায়
পোড়া বাড়ির জল ঢাকায়
এই নদীটির ত্রিমোহনা
যেন পদ্মা মেঘনা যমুনা
শাখালীন দূর দূরান্ত ছুটে চলে রক্ত পথে
ঢেউ গুলো আছরে পরে জনপদে
চারি পাশে সুজলা শস্য শ্যামলা
এই নদীকে নিয়ে তাই দুঃখ কথার মালা
নৌকা চলে নদীর বুকে
গানের সুর মাঝির মুখে
যৌবন বেগে জোয়ার আসে
ভাটায় ভাটায় যায় শেষে
চলার পথের নেই ত শেষ
তাই তো নদী মাতার বাংলাদেশ
এই নদীটির জোয়ার ভাটা
এই নদীটির বুকের পাটা
এই নদীটির জলের নৃত্য
আমার হৃদয় মর্ম চিত্ত
ঢেউ গুলো নেচে নেচে
কুল ভাঙে যে কার
বান বাদলের ধারাগুলো
আজ করেছে কারবার
এই নদীটির বাঁকে বাঁকে
রূপালী মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে
এই নদীটি চিত্র রূপী
আকাশ নদী বহুরূপী
মধুর হিমেল দমকা বাতাস
ডুব দিয় যায় বুনো হাঁস
ঝড় বাদলের দিনে
নদীকে কেউ কি চিনে
নদীতে চলে স্টীমার
বনিক ধনিক কারবার
ঝড় বাদলে ফুলে উঠে
থৈথৈ করে জলের স্রোতে
নদীর দুই কুলে সারি সারি
বৃক্ষেরা দাঁড়িয়ে করে জড়াজড়ি
কৃষানের ফসলী মাঠ
গ্ৰাম গঞ্জ বাজার হাট
পেরিয়ে চলে অবিরত
নৌকা জুড়ে জলের নৃত্য
ছুটে চলে দিগন্তের পথ ধরে
কত কাল কত বছর পরে
রক্তের শিরা উপশিরার মত
পদ্মা মেঘনা বিশালক্ষী যমুনা
রূপালী বাংলাদেশ তেরোশ নদীর মোহনা
হে নদী তোমার গর্ভে বিলীন কত সভ্যতা
হে নদী তোমার তরে তাই অধীর দুঃখ কথা
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন