বিভৎস ধ্বংসাবশেষ থেকে খুঁজে নাও
আমার অস্তিত্ব
তোমাদের বিষাক্ত নগরীতে
আমাকে বুক ভরে কবিতার ঘ্রাণ
নিতে দেয়া হয়নি।
যেখানে কবিতার পঙক্তি
শিরোনাম বিরামচিহ্ন
আমাকে অযাচিত ঘোষনা করে
ছেড়ে চলে গেছে
তার দায়ভার কার?
জবাবে কিচ্ছু চাই না আমি
বুক ভরে দম নেবার ব্যবস্থা করে দাও
আমার এ বিভৎসতা আমার কাছে
বিভৎস লাগে খুব।
যে বাতাসে কবিতার ঘ্রাণ নেই
সে বাতাস ফিরিয়ে নাও
ফিরিয়ে নাও বরং’চ ।
নতুন বইয়ের গন্ধে যে মগ্নতা
কিংবা,সেল্ফে রাখা বই
তার গা জুড়ে পুরোনো কাঠের গন্ধ।
পুরোনো হতে হতে সাদা পাতাগুলো বাদামি
হয়ে ওঠার সাথে সাথে মিশে থাকে মুহূর্ত।
ওসবের কাছে ফিরে যেতে চাই।
এখনও অনেক কবিতা লেখা বাকি
অনেক প্রেক্ষাপট, অনেক মানুষের কথা বলা বাকি।
যে গল্প শেষ অবদি পৌঁছুতে পারছে না
সে গল্পের শেষটা লেখার ছিলো।
নয়তো কথাদের অত্যাচারে জীবন কতটা
বিভৎস হয়ে উঠবে, সে বোঝার সাধ্য কার আছে!
দাসত্ব নিয়েছি মেনে
কলম কাগজের কাছে।
বাঁধা দিও না’কো।
প্রেম অপ্রেম, লড়াই, প্রতিবাদ
সফলতা কিংবা ব্যর্থতার পেছনে লেগে থাকুক চেষ্টা।
যেমনি কলম কাগজের পেছনে আমি
দাস হয়েছি।
চাইলেও দায় এড়াতে পারিনা,
আমাকে বাঁচতে দাও তোমরা এ বিষাক্ত নগরীতে।
আমি বাঁচলেই বেঁচে যাবে অজস্র কবিতা গল্প।
আমি বাঁচলেই বেরিয়ে আসবে বোবাদের কান্না,
বলতে না পারা সহস্র কথা।
মহৎ হতে চাইনি,
মহৎ হতে চাই না আমি।
একটা বিভৎস মানুষের নিজের চাওয়ার কিছু নেই।
আমার জন্য একটু মুক্ত বাতাস রেখে যাও।
আমি লিখতে চাই।
© Farhan Noor Shanto
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন