যুবক অনার্য তাঁর “মধুর ক্যান্টিনে যাই” কবিতায় রাউফুন বসুনিয়া-এর কথা বলেছেন কারণ তিনি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের একজন শহীদ, যিনি গণতন্ত্র ও ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন।
রাউফুন বসুনিয়া কে ছিলেন?
রাউফুন বসুনিয়া ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যিনি ১৯৮৫ সালে স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ছিলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সক্রিয় নেতা এবং তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে আছে।
কবিতায় তাঁর উল্লেখের গুরুত্ব
যুবক অনার্য তাঁর কবিতায় মধুর ক্যান্টিনের প্রতীকী গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। এই ক্যান্টিনে একসময় ছাত্রনেতারা একত্র হয়ে রাজনৈতিক পরিকল্পনা করতেন, যেখানে শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার মতো সংগ্রামীদের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে।
মূল বার্তা
কবিতাটি শুধু নস্টালজিয়া নয়, এটি প্রতিবাদ, গণতান্ত্রিক চেতনা ও শহীদদের স্মরণ করার একধরনের প্রয়াস। রাউফুন বসুনিয়াকে স্মরণ করা মানে সেই সমস্ত ছাত্রদের স্মরণ করা, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
এভাবেই, “মধুর ক্যান্টিনে যাই” কবিতায় রাউফুন বসুনিয়ার নামটি শুধু একটি স্মরণ নয়, এটি নতুন প্রজন্মকে সংগ্রামের ইতিহাস জানার এবং অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন