আপনি বলেছিলেন, কিন্তু
আল সাদকাওয়ান
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমরাও চা খাবো শেরাটনে-
কিন্তু টঙের আবুল মিয়ার ধারই-
আজও শোধ হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন, আমরাও ডেস্টিনেশান ওয়েডিং করবো-
কিন্তু কাফনের কাপড় দূরে থাক- তেরপলটাও
কেনা হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমরাও টইটই ঘুরবো সাজেক-
করবো নেচার ফটোগ্রাফি,
কিন্তু গঞ্জের বাবুল মিয়া টেঁসে গেলো-
ছুটি নেই বলে, ওর রূঢ়ভাষী অথচ মায়াভরা-
মুখটাও শেষবার দেখা হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমাদেরও কোল আলো করে-
আসবে ফুটফুটে, গোলগাল ডানো বেবি
কিন্তু হাড্ডিসার, কুঁজো, চশমিশ বামনে-
আমাদের মিলিত উঠোনে, এখন
টেকাই দায়।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমাদের ক্ষুদে অফিসটাও
ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেডে নাম লেখাবে-
কিন্তু, শেষ বিকালে, লালবাতি জ্বেলে-
দেউলিয়া হওয়াই জুটলো।
আপনি বলেছিলেন,
এই সুনীল আকাশের তলে-
কোনও ষোড়শী শুচিস্মিতার চোখে হারিয়ে যাবার দিন
আসবে। কিন্তু কটূভাষী খাণ্ডারনিদের অপশব্দে-
আজ আমাদের বেলা ফুরোয়।
আপনি বলেছিলেন,
মেঘলা এক দুপুরে-
সাদা ঘোড়ায় চেপে, কোনও শ্যামরঙা, সুপুরুষ-
আমাদের বোনেদের নিয়ে যাবে-
সাত সাগরের পারে, কোনও অচিন-রাজ্যের রাণী করে-
কিন্তু যে খাটাশ, বুনোগন্ধী উল্লুকের ঘরে-
রেখে এলাম সাশ্রুনয়না আদরের অনুজাটিকে,
বোনের জানাজার আগে-
তাকে আর দেখিনি।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের বাবারা মাথা উঁচু করে বাঁচবেন।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের মগের মুল্লুকে একদিন ন্যায়ের বৃষ্টি নামবে।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের মায়েরা কাতান-জামদানি পরবেন।
আপনি বলেছিলেন অনেক কথা- মৃদূ গলায়, অকাতরে।
কিছুই ফলেনি, কচু-ঘেঁচু কুড়িয়ে, জন্তু-জীবনের নিয়েছি শরণ।
আপনার শিরস্ত্রাণধারীরা কামড়ে দিলে-
বত্রিশখানা ইঞ্জেকশানেও কাজ হয় না।
কেন কথা দিয়েছিলেন-
যদি অবহেলায় লাথি মেরেই চলে যাবেন?
একদিন আমরাও চা খাবো শেরাটনে-
কিন্তু টঙের আবুল মিয়ার ধারই-
আজও শোধ হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন, আমরাও ডেস্টিনেশান ওয়েডিং করবো-
কিন্তু কাফনের কাপড় দূরে থাক- তেরপলটাও
কেনা হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমরাও টইটই ঘুরবো সাজেক-
করবো নেচার ফটোগ্রাফি,
কিন্তু গঞ্জের বাবুল মিয়া টেঁসে গেলো-
ছুটি নেই বলে, ওর রূঢ়ভাষী অথচ মায়াভরা-
মুখটাও শেষবার দেখা হলো না।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমাদেরও কোল আলো করে-
আসবে ফুটফুটে, গোলগাল ডানো বেবি
কিন্তু হাড্ডিসার, কুঁজো, চশমিশ বামনে-
আমাদের মিলিত উঠোনে, এখন
টেকাই দায়।
আপনি বলেছিলেন,
একদিন আমাদের ক্ষুদে অফিসটাও
ফরচুন ফাইভ হান্ড্রেডে নাম লেখাবে-
কিন্তু, শেষ বিকালে, লালবাতি জ্বেলে-
দেউলিয়া হওয়াই জুটলো।
আপনি বলেছিলেন,
এই সুনীল আকাশের তলে-
কোনও ষোড়শী শুচিস্মিতার চোখে হারিয়ে যাবার দিন
আসবে। কিন্তু কটূভাষী খাণ্ডারনিদের অপশব্দে-
আজ আমাদের বেলা ফুরোয়।
আপনি বলেছিলেন,
মেঘলা এক দুপুরে-
সাদা ঘোড়ায় চেপে, কোনও শ্যামরঙা, সুপুরুষ-
আমাদের বোনেদের নিয়ে যাবে-
সাত সাগরের পারে, কোনও অচিন-রাজ্যের রাণী করে-
কিন্তু যে খাটাশ, বুনোগন্ধী উল্লুকের ঘরে-
রেখে এলাম সাশ্রুনয়না আদরের অনুজাটিকে,
বোনের জানাজার আগে-
তাকে আর দেখিনি।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের বাবারা মাথা উঁচু করে বাঁচবেন।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের মগের মুল্লুকে একদিন ন্যায়ের বৃষ্টি নামবে।
আপনি বলেছিলেন, আমাদের মায়েরা কাতান-জামদানি পরবেন।
আপনি বলেছিলেন অনেক কথা- মৃদূ গলায়, অকাতরে।
কিছুই ফলেনি, কচু-ঘেঁচু কুড়িয়ে, জন্তু-জীবনের নিয়েছি শরণ।
আপনার শিরস্ত্রাণধারীরা কামড়ে দিলে-
বত্রিশখানা ইঞ্জেকশানেও কাজ হয় না।
কেন কথা দিয়েছিলেন-
যদি অবহেলায় লাথি মেরেই চলে যাবেন?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন