আর একটু বাদেই আমার ফাঁসি হয়ে যাবে!
এ জীবন-জগৎ আমার কেবলই এক আঁধার পাবে;
নিরন্তর এক শাশ্বত আঁধার। এটিকে মৃত্যু না বলাই ভালো;
মৃত্যুর সাথে এর বড্ড ফারাক। চরম সত্য ও কাব্যিক হলো –
অনন্ত শূন্যতার শাশ্বত আঁধার
আর আমার
কয়েক মুহূর্তের জীবনের বিদঘুটে আলোর মধ্যে
অতিনিরস এক গদ্যে-গদ্যে
একটা হঠাৎ চির-বিভেদ রচনা করা হবে
আর কিছুই না বাকি রবে
যে জীবন আদৌ কোন জীবন ছিল না আমার, তার
সবটুকু দায়ভার
নিয়ে এতটুকু সময়ে কী আর বলো ভাববো –
আপনজন, নারী নাকি কবিতার কাব্য!
কতদিন রবে এই শব্দযুগল-আপনজন, আপনঘর
নাকি একদিন হয়ে যাবে সকলেই সকলের পর;
বড্ড বিপরীতমুখি। মানুষ কতদিন আর কবিতা পড়বে
এমনি করে, স্বপ্ন ও শান্তির সৌধ গড়বে
নিজের ভেতরে? নাকি সকলেই কবিতার ঘাতক হয়ে যাবে একদিন!
কেউ কি আর শূন্যতার অন্ধকারের সৌন্দর্য নিয়ে হবে বিলীন
কোন অকারণ ভাবনায়?
কোনদিন কেউ কি আর আমার মতো হায়!
ভাবনার নিঃশব্দ রঙে শূন্যতার ছবি আঁকবে?
নারী ও পুরুষ কি হয়ে যাবে
একদিন বিরুদ্ধ-আদল?
আর পরমেশ্বর অট্টহাসি হাসবে কেবল!
জানতে ইচ্ছে করে-মানুষ কি তার নিজেকে কখনো চিনেছে;
কেন সে? কেন সে এসেছে?
কি তার জীবন ও নিয়তির ছক? যে জীবন বালির বাঁধ, হায়!
একটুখানি জলের ধাক্কায় বড্ড এলোমেলো হয়ে যায়
সে কী করে সামলাবে বল প্রকৃতির আবদার!
আর আমি ফাঁসির দঁড়ি অনুভব করছি, চারিদিকে অন্ধকার!
অনুভূতি শক্তি শূন্যতায় ভাসছে
মিশে যাচ্ছে , মিশে যাচ্ছে
আর আমি তখন——–
(অনুভূতিশক্তি শেষ হওয়ার আগে শেষ অনুভূতিটা দিলাম ভাসিয়ে ইথারে
যারা প্রকৃত পাঠক, নিশ্চয়ই তারাই ধরবে তারে প্রকৃত কবি-চিন্তার রাডারে)
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন