এই জগত-সংসারে আমার আর গর্ব করার কিছুই নেই
আছে এক ছটাক নাল জমি সেই
সেখানেও আজ গাঁজার চাষ নিষিদ্ধ
অথচ আমি একজন দক্ষ চাষা, অতিসিদ্ধ
আমারও লাঙ্গল আছে একখানা দারুণ খাসা
কিন্তু আমি আজ এক বঞ্চিত চাষা

আমার বীরত্ব করার কিছুই নেই, আছি বড়ই ফাঁকা
আছে একখান পানসে হাত, সেখানেও পতিব্রতার উল্কী আঁকা
অথচ আমি পুরুষ, আমারও দুর্দান্ত এক পৌরুষ আছে
তীরভাঙা নদীর মতন কেবলই মাতাল নাচে,মাতাল নাচে
জীবনের বাঁকেবাঁকে
অথচ আমাকে আজ আর কেউ না ডাকে

জানি, আজ আর অহংকার করার
কিছুই যে অবশিষ্ট নেই আমার
আছে একটা ঘেয়োমুখ, কেবলই অকারণে থাকে আঁটা
সেখানেও নিষেধাজ্ঞার নীরব লেবেল সাঁটা
অথচ আমি সরব প্রাণি, আমারও আছে হরেক রকমের রব
যেমনই আছে দিশেদিশে হরবোলা পাখিদের সব

আমার উল্লাস করার তেমন কিছুই নেই আজ এই শূন্য ঘটে
আছে আধো-দৃষ্টি দুটো পোড়া চোখ শুধু, খেই-হারা বটে
সেখানেও কলুর বলদের মতন নিষ্ঠুরভাবে পরানো ঠুলি;
আমি দেখবো না কিছুই, জানবো আধেক, শুনবো কিছু বুলি

অথচ আমি নাকি এক হোমো-স্যাপিয়েন্ট প্রাণি
আমারও অনুভূতি আছে কীটসের মতন অতিস্ট্রং জানি
এতগুলো না-না’র যন্ত্রণা নিয়ে বলো কেমন করে বাঁচি
অথচ আমিও এ সংসারে এক আধা-জীবন্ত মানুষ আছি
আছে আমারও একখানা আধাপোড়া,আধা-সাড়া জীবন
একেবারেই কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীর মতন।

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১২ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন