এমন মুখশ্রী আমি কোনদিনও দেখিনি আগে;
উদাস করা, ভরা পূর্ণিমার চাঁদ যেন কবিতার মত কথা কয়।
চিরায়ত নৈঃশব্দে, হাসিমাখা সৌম্য অবয়বে,
ঠিক যেন দেবী আফ্রোদিতি;
চির নমস্য, চির কাম্য চঞ্চল বিশ্ব-যৌবনকূলে
উত্তপ্ত যৌবন তলে নিভৃতে জ্বলে যেন উন্মুখ কামনার
লেলিহান শিখা;
ক্ষয়িষ্ণু পাপাত্মা চিৎকার করে, আফসোস করে গালিবেরা
আমি জেগেছি, জেগেছি পুনর্বার যমুনার কূলে,
সাজাহানের প্রেম যেথা যুগোল-মূর্তি; কিউপিড-ভেনাস
দয়া করো দেবী, আমি নিপীড়িত, আমি পিষ্ট
বৈরী প্রকৃতি কিংবা সভ্যতায়,
উত্তপ্ত উষর ইথিওপিয়া কিংবা শিয়াচেনে
এক সাগর যন্ত্রণায় নীল এ বক্ষ; পুষ্পের ঘ্রাণ পাইনি কোনদিন।
দয়া করো দেবী, দয়া করো; পরশে পুষ্পিত করো, গর্বিত করো বঞ্চিতে
জানি পাপেরা নিঃশব্দে আসে, পাতকীরা মেতে ওঠে জয়োল্লাসে;
সব পেয়েছি, সব পেয়েছি। ভুলে যায় অস্তিত্ব-অবস্থান
অবশেষে ডুবতে হয়, ডুবে যায় চোরাবালুতে
আমিতো পাপ করিনি, তবে কেন নীল এ বক্ষ যন্ত্রণায়?
মদিরার রক্তচক্ষু তবু কেন টানে?
চাইনিতো ম্যান্ডেলার যন্ত্রণার কারাবাস, চাইনি উইনির সংসার
তবুও কেন ঘটে যায়?
ভালবাসার পতন শব্দে জেগে উঠি জরা জীবনের কূলে আচমকা
হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়; সিক্ত হয়ে ওঠে আপদমস্তক
হে দেবী! বড় বঞ্চিত! জীবনের সান্নিধ্য পাইনি কোন দিন।
জানি সত্য নয়, কিংবা সব সত্য, সত্য হয়ে ওঠে না,
তবু মানি- এ আমার জর্ডান! গঙ্গা আমার! এ আমার শুভযোগ!
তবে তাই হোক, তবে তাই হোক।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন