কথা বলা কলাকৌশল
নির্মলেন্দু গুণ
নির্দিষ্ট নিবাস নেই, উদ্বাস্তু-উন্মুল ভিখিরির মতো ঘরহীন;
সারাদিন ঘুরেঘুরে শহরের এদিকে-ওদিকে
সন্ধ্যা হলে সব কথা রমনার বুকের ভিতরে জমা হয়।
আমি বুঝি কর্ণকুহরে কারা শব্দিত-সঘন-পদপাতে
কথা বলে, কথাবলাকলাকৌশলের মালা গাঁথে বসে বসে।
মনে হয় অস্থিরতাময় এই কথাগুলো যেন রেসকোর্সে
মুজিবের সভা-; শরীরে শরীর লাগা লাখো লাখো
স্বনিষ্ঠ সংলাপ, পরদিন তোমাকে বলার জন্য যা শুধুই
তৈরি হচ্ছে উত্তেজিত কামে-ক্লেদে, মাংসের বিভিন্ন কোঠায়।
এখন তো সবেমাত্র অন্ধকারে নেমেছে শহর, আরো বহু
বিনিদ্র প্রহর জেগে থেকে বিভিন্ন দিনের চিত্র চোখে গেঁথে নিয়ে
আমাকে জাগতে হবে এই জনশূন্য রাত একা একা;
জেগে থাকতে হবে এই একাগ্র শব্দের বিছানায়।
কিডনিতে মাথা রেখে যারা ছিল কল্পনার অপারগ শিশু
ক্রমশ মাথার দিকে অগ্রসর হবে তারা, তোমার বুকের মতো
এ আকাশ ফর্সা হবে দ্রুত, কার্ডিগানে শীতের সকাল নিয়ে
তুমি এসে দাঁড়াবে রোদ্দুরে, ডেকে নেবে অন্তরালে,
এলোমেলো হবে শব্দ। তোমার চুলের বেণী বেয়ে বাথরুমে
জলের ধারার মতো নিরুপায় কণ্ঠ থেকে শব্দের ডাকাত
অপচয় স্মৃতি হয়ে এক-একটি সকাল ব্যর্থ দিনের মতো
নেমে যাবে ক্লেদে, ফুটপাতে, করিডোরে, মধ্যাহ্নের রোদে।
কোনো কথা জমবে না, কলাভবনের বিস্তৃত শূন্যতা জুড়ে
সকল বিভাগ পুনর্বার হবে একা। আমি শুধু কথাবলাকলাকৌশলের
মালা হাতে নিয়ে নিঃশব্দে জ্বলবো একা; তুমি বলবে : ‘যাই’।
সারাদিন ঘুরেঘুরে শহরের এদিকে-ওদিকে
সন্ধ্যা হলে সব কথা রমনার বুকের ভিতরে জমা হয়।
আমি বুঝি কর্ণকুহরে কারা শব্দিত-সঘন-পদপাতে
কথা বলে, কথাবলাকলাকৌশলের মালা গাঁথে বসে বসে।
মনে হয় অস্থিরতাময় এই কথাগুলো যেন রেসকোর্সে
মুজিবের সভা-; শরীরে শরীর লাগা লাখো লাখো
স্বনিষ্ঠ সংলাপ, পরদিন তোমাকে বলার জন্য যা শুধুই
তৈরি হচ্ছে উত্তেজিত কামে-ক্লেদে, মাংসের বিভিন্ন কোঠায়।
এখন তো সবেমাত্র অন্ধকারে নেমেছে শহর, আরো বহু
বিনিদ্র প্রহর জেগে থেকে বিভিন্ন দিনের চিত্র চোখে গেঁথে নিয়ে
আমাকে জাগতে হবে এই জনশূন্য রাত একা একা;
জেগে থাকতে হবে এই একাগ্র শব্দের বিছানায়।
কিডনিতে মাথা রেখে যারা ছিল কল্পনার অপারগ শিশু
ক্রমশ মাথার দিকে অগ্রসর হবে তারা, তোমার বুকের মতো
এ আকাশ ফর্সা হবে দ্রুত, কার্ডিগানে শীতের সকাল নিয়ে
তুমি এসে দাঁড়াবে রোদ্দুরে, ডেকে নেবে অন্তরালে,
এলোমেলো হবে শব্দ। তোমার চুলের বেণী বেয়ে বাথরুমে
জলের ধারার মতো নিরুপায় কণ্ঠ থেকে শব্দের ডাকাত
অপচয় স্মৃতি হয়ে এক-একটি সকাল ব্যর্থ দিনের মতো
নেমে যাবে ক্লেদে, ফুটপাতে, করিডোরে, মধ্যাহ্নের রোদে।
কোনো কথা জমবে না, কলাভবনের বিস্তৃত শূন্যতা জুড়ে
সকল বিভাগ পুনর্বার হবে একা। আমি শুধু কথাবলাকলাকৌশলের
মালা হাতে নিয়ে নিঃশব্দে জ্বলবো একা; তুমি বলবে : ‘যাই’।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন