তোমার দর্শক
নির্মলেন্দু গুণ
হাতের ভিতরে আরো হাত আছে, আঙুলের ভিতরে
আরো অনেক আঙুল, তুমি কাকে স্পর্শ করবে?
তুমি কাকে ছুঁয়ে দেখতে চাও?
আমার যে হাতে তুমি অপঘাত মৃত্যু দেখে
চমকে উঠেছিলে অথবা আমার যে চোখে তুমি
বিনিদ্র রাত্রির চিহ্ন দেখে তিরস্কার করো,
সে চোখ একাকী নয়, চোখের ভিতরে আরো
চোখ আছে, তুমি কোন্ চোখে চুমু খাবে বলো?
আমি যে হাতে তোমাকে ছুঁই
সে হাতে মাটিকেও কোনোদিন স্পর্শ করি না।
আমি যে চোখে তোমাকে দেখি
সে চোখে কোনোদিন মানুষ দেখিনি।
হৃৎপিণ্ডের নাম নিয়ে যেমন হৃদয় থাকে
লুক্কায়িত বুকের ভিতরে, তেমনি লুকিয়ে আছে
হাতের ভিতরে হাত, চোখের ভিতরে কালো চোখ।
তুমি কার কাছে তুলে দেবে তোমার হৃদয়?
আমি যে হাতে বিপ্লব করি, বাসের হাতলে ঝুলি,
ঘুষ খাই, টাকা গুনি, অন্ন তুলি মুখে,
সে হাতে তোমার স্তন কোনোদিন স্পর্শ করি না।
সে হাতে তোমার আত্মা কোনোদিন স্পর্শ করিনি।
যে চোখ আমাকে দেখে, মানুষ, পৃথিবী দেখে, পাখি–
চাঁদ-ফুল-মৃত্যু-যুদ্ধক্ষেত্র দেখে, সে চোখ আমার নয়,
সে চোখে কখনো আমি তোমাকে দেখি না।
আরো অনেক আঙুল, তুমি কাকে স্পর্শ করবে?
তুমি কাকে ছুঁয়ে দেখতে চাও?
আমার যে হাতে তুমি অপঘাত মৃত্যু দেখে
চমকে উঠেছিলে অথবা আমার যে চোখে তুমি
বিনিদ্র রাত্রির চিহ্ন দেখে তিরস্কার করো,
সে চোখ একাকী নয়, চোখের ভিতরে আরো
চোখ আছে, তুমি কোন্ চোখে চুমু খাবে বলো?
আমি যে হাতে তোমাকে ছুঁই
সে হাতে মাটিকেও কোনোদিন স্পর্শ করি না।
আমি যে চোখে তোমাকে দেখি
সে চোখে কোনোদিন মানুষ দেখিনি।
হৃৎপিণ্ডের নাম নিয়ে যেমন হৃদয় থাকে
লুক্কায়িত বুকের ভিতরে, তেমনি লুকিয়ে আছে
হাতের ভিতরে হাত, চোখের ভিতরে কালো চোখ।
তুমি কার কাছে তুলে দেবে তোমার হৃদয়?
আমি যে হাতে বিপ্লব করি, বাসের হাতলে ঝুলি,
ঘুষ খাই, টাকা গুনি, অন্ন তুলি মুখে,
সে হাতে তোমার স্তন কোনোদিন স্পর্শ করি না।
সে হাতে তোমার আত্মা কোনোদিন স্পর্শ করিনি।
যে চোখ আমাকে দেখে, মানুষ, পৃথিবী দেখে, পাখি–
চাঁদ-ফুল-মৃত্যু-যুদ্ধক্ষেত্র দেখে, সে চোখ আমার নয়,
সে চোখে কখনো আমি তোমাকে দেখি না।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৯৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন