প্রিকসমিক এ্যগ_
চন্দনচূর্ণ পুকুরের জল ছলকে
হাসি মাখিয়ে গালের টোলে
যে আতর উড়িয়ে হেটে যাও
তার কিছু নিয়ে ফোটে গোলাপ
বাদ বাকি সারাদিন থাকে ছেঁয়ে
এই চোখে মনে তোমার প্রলাপ
এত মধুর কেন অপেক্ষাও
কেন এত অল্পেই বেলা বয়ে যায়…!
টানেল ট্যু নৌহোয়্যার_
মনের গহীনে সে জাগে চির স্থির
জ্বলে সে হয়ে অনন্ত নয়নের নীর
নিত্য তাঁরে পেয়েছি শিশির জলে
সুদূরে বিলীন হয়েও হৃদয় অতলে
জনমের প্রেম তাঁর গাঁথে ফুল হার
কত তাঁর মায়া কত স্মৃতি উপহার
এই মায়াময় আকুতি মিনতি
আবদার আহ্লাদিত সগতোক্তি
মনের কোনো এক অদেখা কোণে
খুব ক’রে ছূঁয়ে ছুঁয়ে যায়…
ভার্স্যেস ডি এ্যমৌর_
কোন ধেয়ানে কারে স্মরণ করে
এই জপমালিকা, এই করুণ প্রাণ
শুধু থেকে থেকে তোমার আশায়
তুমি তুমি ব’লে হাহাকার করে ওঠে
কেন এখানে সেখানে তোমার ঘ্রাণ
কেউ কি বুঝবে…! সে নেই এখানে…
সে নেই অথচ তাঁর গন্ধ নিয়ে ফুল ফোটে
সে নেই অথচ এই উদ্বাস্তু মন
তাঁর সংসার, তাঁর চিরকালের আবাসন…
ইনকমপ্রিহেনস্যিভ সার্ফ্যেইস_
ভুল কারো জীবনে আনে ফুলের সুরভি’ও
ভুল নিতান্তই তবু ভুল হোক তা অতুলনীয়
যার কিছু নেই সে জানে কিছুর মূল্য কতখানি
হারানো মনের ঠিকানা খুঁজে শুধু হলো হয়রানি
শিউলি’র সুরভি আমি কখনও দেখিনি,
কিন্তু হৃদয়ে মেখেছি,
চোখেও যে তার প্রলেপ রয়েছে !
সুরভি নিস্তরঙ হলেও
বাতাসের গায়ে তার আদর রয়ে গেল…
_“আত্মপীড়িতের এই যেন আশ্রয়স্থল কবি।
শিশিরের সমীকরণ যেন অসংখ্য না মেলা সমীকরণের কাব্য”
_”এমন একটি প্রাণবরণী মন্তব্যের জন্যেই যেন অপেক্ষা ক’রেছিল এই কবিতা’র যন্ত্রণাগ্রস্থ শব্দেরা… কেউ আর কিভাবে বুঝবে কত যন্ত্রণায় আর কত আক্ষেপে ভৈরব নদের সেই কপোতাক্ষী জলহিল্লোল আজ কেন মাটিতে মিশে মিহিন হয়ে গিয়েছে…!”
_”সে ও হয়তো আত্মপীড়ন সইতে না পেরে আড়াল খুঁজে নিয়েছে। আত্মপীড়ণের যন্ত্রনা তো অসীম কবি। চঞ্চলা হরিণী সে ভার বইবে কি করে ?”
_”মানুষের চোখ নিয়ে আমার যে দর্শন তাতে শুধুমাত্র ভ্রমেরই সংকুলান হয়েছে, কিন্তু কষ্টের পাথরে যে আগুন জ্বলেছিল তাতেই আমি কবে কবে যেন তাকেই ভালোবেসেছি যে সত্যিই পরমভাবে আমাকে ভালোবেসেছিল… ভালোবেসে যে আমি দেউলিয়া হয়ে যেতে পেরেছি এতেই আমার এই জন্মের সার্থকতা হলো…”
নির্জনে নুপুরের ছন্দে সে আসে
মনে হয় সে যেন রয়েছে আশেপাশে
যেন সে আমার কত কালের পরিচিত
আমার অন্তর আত্মায় রক্ত কণায় নিহিত…
হাইপারটেক্সট অ্যাপিল_
আর না হয় একটা মুহুর্ত থাকো
প্রাণে সুখ উদ্বেল হোক আরো কথা
আমাদের মাঝে প্রণয়ের সাঁকো
মহাকাল পেরিয়ে বাড়ুক অস্থিরতা…
থাকো আরো কিছুক্ষণ পরাণ পিঞ্জরে
এসেছি নিয়ে বিস্ময় শত জনমের
মন দুয়ারী ফিরে তাকাও যেয়ো না সরে
আর ক’রো না সূচনা নূতন বিরহের…
প্র্যোলিফিক লিউমিন্যোসিটি_
সখী এই শীতে আর
সুদূরে যেয়ো না
প্রণয় ওম দিতে তাঁর
কেন এত ছলনা…!
অলকা সুবর্ণ রূপ মাধুরী
চন্দন কুয়াশা চাদরে
সখী রাঈ জাগো আদুরি
রাখো পরাণ আদরে…
আর্টিফিশ্যল রিয়্যেলিটি_
শীতসন্ধ্যায় চিরচেনা বাতাসে
তাঁর অচেনা পায়ের ধ্বনি শোনা যায়
অথচ সে কখনও এখানে আসেনি…
জঠর যন্ত্রণা হৃদয়ের বেশি ঢের
বসন্তে কিইবা পায় মৃত কোকিল
কাহিনী নয়, বাস্তব আরো বর্ণিল
বিষ খুঁজেছি, আশা নেই অমৃতের… [পার্শ্যল এ্যসেন্স]
[ অবলিভ্যিয়ন / সূর্যাস্তের পদাবলী হতে উৎসারিত ]
______________________________
“ক্যিউ কোয়্যি অ্যাসেহ্যি গুমশুদা হ্যো যাত্যে হ্যে ক্যে উসকো কোয়্যি সুরাঘ, কোয়্যি ওয়্যাজা নাহি মিলতে হ্যে… ম্যেহসুস রুহ ম্যে অ্যাসেহ্যি সামাতা হ্যে, কাভি ভ্যি তুমসে কোয়্যি শ্যিকওয়া নাহি থ্যি… জ্যিস জিস্যম ম্যে ও্য রুহ থা ও্য কাভি ভ্যি কাহি ভ্যি হাওয়া ক্যে সাথ ল্যেহরি নাহি থ্যি… … …স্যির্ফ ও্যর স্যির্ফ হার দ্যিশে ম্যে সান্নাটা হ্যি সান্নাটে থ্যি…”
“কেন কেউ এভাবেই মৌন হয়ে যায়, যেন তার কোনো অবসান নেই, নেই কোনো কারণও… আত্মায় এভাবে তোমার খেয়াল এসে পরশিত হয়, কোনো অভিযোগের অবকাশ থাকেনা… এই শরীরে যে আত্মা বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছিল সমস্ত সময়, কখনও সে যেন সহসা অধীর হয়নি, শুধু চতুর্দিকে চোখ মেলেছি যত দূরে, নিঃস্তব্ধতাই নিঃস্তব্ধতা, অভাবিতপূর্ব বিলীনতা… … …”
_______________________________________________________
দ্রষ্টব্যঃ কপিরাইটের জন্য এখানে প্রকাশিত প্রতিটি সাহিত্যকর্মই আংশিক আকারে প্রদর্শিত
N.B.: Some stanzas here have been masked to avoid copyright infringement
[Copyright © 2024 | Anwar Parvez Nur Shishir – All Rights Strictly Reserved],

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
২৭৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন