মানুষের মানচিত্র ১০
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তালাক হয়েছে তার আশ্বিনের শেষ দিন অপর বেলায়। অকারনে। লোকে বলে-সোয়ামির দিকে তার ছিলো না নজর, পাড়া বেড়ানিয়া মাগি যার তার ঘরে গেছে সন্ধা কি ফজর- অপরাধ বড়ো তার, পাথর ভেঙেছে সে-যে মাটির ঢেলায়।
সোমত্ত জোয়ার ঘাড় ফেরায়ে বলেছে মেয়ে-যাবো না,যাবো না। ভরা অভাবের মাসে এখন কোথায় যাবো, কে দেবে খোরাকি? যে অঙ্গ সোহাগ চায় সেইখানে লাথি নিয়ে নেমেছে একাকী। অন্ধকারে। নামতে হয়েছে তাকে, তার কথা হয় নাই শোনা।
সোয়ামির ঘর থেকে তালাক হয়েছে তার, জোটেনি তালাক জীবনের কাছ থেকে। জীবন নিয়েছে তারে অন্ধকারে টেনে। মজা পুকুরের পাড়ে ভিন পুরুষেরা তার দেহখানা ছেনে চিনিয়ে দিয়েছে দেহ, জীবনের কানাগলি, অন্ধকার বাঁক।
বুকের আগুন আজ জ্বেলেছে সে তার দেহে, দেহের খাঁচায়। বধু নয়, মাতা নয়, সে এখন শুধু এক সর্বনাশা মেয়ে- সংসারের কূল ভাঙে উথাল গাঙের কালো অন্ধজল হয়ে, মেঘের মতোন সে-যে রোদে পোড়া কিষানের আশাকে নাচায়।
ঘোলাটে জোস্নার রাতে দড়ি হাতে যায়নি সে গাবগাছ-তলা, এনড্রিন ভালবেসে পরান জুড়োতে তার হয় নাই সাধ। বেঁচে থেকে জীবনের পচা-গলা অন্ধকারে নিয়েছে সে স্বাদ জীবনের- জীবন দেখুক এক মানুষের অন্ধকারে জ্বলা।।
সোমত্ত জোয়ার ঘাড় ফেরায়ে বলেছে মেয়ে-যাবো না,যাবো না। ভরা অভাবের মাসে এখন কোথায় যাবো, কে দেবে খোরাকি? যে অঙ্গ সোহাগ চায় সেইখানে লাথি নিয়ে নেমেছে একাকী। অন্ধকারে। নামতে হয়েছে তাকে, তার কথা হয় নাই শোনা।
সোয়ামির ঘর থেকে তালাক হয়েছে তার, জোটেনি তালাক জীবনের কাছ থেকে। জীবন নিয়েছে তারে অন্ধকারে টেনে। মজা পুকুরের পাড়ে ভিন পুরুষেরা তার দেহখানা ছেনে চিনিয়ে দিয়েছে দেহ, জীবনের কানাগলি, অন্ধকার বাঁক।
বুকের আগুন আজ জ্বেলেছে সে তার দেহে, দেহের খাঁচায়। বধু নয়, মাতা নয়, সে এখন শুধু এক সর্বনাশা মেয়ে- সংসারের কূল ভাঙে উথাল গাঙের কালো অন্ধজল হয়ে, মেঘের মতোন সে-যে রোদে পোড়া কিষানের আশাকে নাচায়।
ঘোলাটে জোস্নার রাতে দড়ি হাতে যায়নি সে গাবগাছ-তলা, এনড্রিন ভালবেসে পরান জুড়োতে তার হয় নাই সাধ। বেঁচে থেকে জীবনের পচা-গলা অন্ধকারে নিয়েছে সে স্বাদ জীবনের- জীবন দেখুক এক মানুষের অন্ধকারে জ্বলা।।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৫৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন