মানুষের মানচিত্র ২১
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বড়ো চেনা এই চোখ, ঘন ভুরু, এই রঙ শ্যামলা শরীর, এই ঠোঁট বড়ো চেনা উজান গাঙের মতো কোমরের বাঁক, এ-পুষ্ট ভরাট মাই পুষে রাখে যেন নোনা দরিয়ার ডাক, বড়ো চেনা এই হাত, নিশিথের আলিঙ্গনে কামনা-অধীর।
বড়ো চেনা এই ঘ্রান, বৃষ্টি ভেজা মাটি এই দেহের তুলনা। তামাটে তরুন চাষা লাঙলে চিরেছে এই নওলা জমিন, কিশোর সবুজ ধান ধ’রে আছে তার সেই শরমের চিন- এখন সে মৃত, ন্যাংটা, পচা লাশ-তার কথা এখন তুলো না।
এ-ও খুব চেনা কথা, এই কথা শুনেছিলো কুসুমের হাড়। থই থই ভরা বুক সোমত্ত শরীরে বুনো শ্যাওড়ার ঘ্রান, বৈশাখে নিখোজ মেয়ে আষাঢ়ে উঠলো খেয়ে লাঙলের টান। ‘চুপ চুপ’- এই কথা শুনেছিলো মাটি আর মেঘলা পাহাড়।
বড়ো চেনা ওই স্বর, ওই কন্ঠ ‘চুপ চুপ’ বনেদি শাসন- ওইখানে পোড়ে প্রেম, হাড় মাংশ, ওইখানে হাবিয়া দোজখ, জীবন-গাছের গোড়া ওই হাত কাটে, ওই সর্বনাশা চোখ যেদিকে ফেরায় পোড়ে ঘরদোর, ভিটেমাটি, ভাতের বাসন।
এই যুদ্ধ বড়ো চেনা, চোখের আড়ালে বাঘ, গোপন লড়াই, কখন নিয়েছে পিছু, মরনে জড়ায়ে গেছি পাই নাই টের। জীবনের রক্ত মাংশ, প্রিয় মুখ হারায়েছি ঢের আমাদের- মরন জীবনে থাকে, জান বাজি, আমি ওই বাঘটাকে চাই।।
বড়ো চেনা এই ঘ্রান, বৃষ্টি ভেজা মাটি এই দেহের তুলনা। তামাটে তরুন চাষা লাঙলে চিরেছে এই নওলা জমিন, কিশোর সবুজ ধান ধ’রে আছে তার সেই শরমের চিন- এখন সে মৃত, ন্যাংটা, পচা লাশ-তার কথা এখন তুলো না।
এ-ও খুব চেনা কথা, এই কথা শুনেছিলো কুসুমের হাড়। থই থই ভরা বুক সোমত্ত শরীরে বুনো শ্যাওড়ার ঘ্রান, বৈশাখে নিখোজ মেয়ে আষাঢ়ে উঠলো খেয়ে লাঙলের টান। ‘চুপ চুপ’- এই কথা শুনেছিলো মাটি আর মেঘলা পাহাড়।
বড়ো চেনা ওই স্বর, ওই কন্ঠ ‘চুপ চুপ’ বনেদি শাসন- ওইখানে পোড়ে প্রেম, হাড় মাংশ, ওইখানে হাবিয়া দোজখ, জীবন-গাছের গোড়া ওই হাত কাটে, ওই সর্বনাশা চোখ যেদিকে ফেরায় পোড়ে ঘরদোর, ভিটেমাটি, ভাতের বাসন।
এই যুদ্ধ বড়ো চেনা, চোখের আড়ালে বাঘ, গোপন লড়াই, কখন নিয়েছে পিছু, মরনে জড়ায়ে গেছি পাই নাই টের। জীবনের রক্ত মাংশ, প্রিয় মুখ হারায়েছি ঢের আমাদের- মরন জীবনে থাকে, জান বাজি, আমি ওই বাঘটাকে চাই।।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৮৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন