০১.
আমি একদিন নিখোঁজ হবো, উধাও হবো রাত প্রহরে,
সড়কবাতির আবছা আলোয়, খুঁজবে না কেউ এই শহরে।
ভাববে না কেউ, কাঁপবে না কেউ, কাঁদবে না কেউ একলা একা,
এই শহরের দেয়ালগুলোয়, প্রেমহীনতার গল্প লেখা।
০২.
তোমার নামে সন্ধ্যে নামা শহর জানে,
রোজ কতটা আঁধার জমাই অভিমানে!
রোজ কতটা কান্না জমাই বুকের কোণে,
তোমার নামে রাত্রি গভীর শহর জানে।
০৩.
লুকিয়ে রাখা পত্রখানি খুব খেয়ালে হঠাৎ দেখো,
কেমন আছে কেমন আছে সেই কথারা, সেই ব্যথারা।
শব্দ এবং বাক্য ধূসর, কেমন আছে শুকিয়ে যাওয়া পাপড়ি ফুলের
একজনমের সকল ভুলের, মাশুলবিহীন কাটিয়ে দেয়া,
একটা জীবন কেমন আছে কেমন ছিল হারিয়ে ফেলা মনগুলো সব,
বুকের ভেতর ফুলের মেলার বনগুলো সব, কেমন ছিল
হারিয়ে ফেলা পত্রখানি একটু খোঁজো, একটু দেখ কোন বুকেদের
তেষ্টা এবং সুবাসটুকু লেপটে আছে আখর জুড়ে, যাচ্ছে পুড়ে
ভীষণ দূরে ঝাপসা হওয়া স্মৃতির পাতা, যাচ্ছে পুড়ে। একটু খোঁজো।
একটু বুঝো কত্তটুকু গভীর হলে, বধির হলে, যায় না ছোঁয়া সবটা ডুবেও,
কত্তটুকু! একটু খোঁজো। অনুভূতির সকল ভাষা হোক না ন্যুব্জ, তবুও খোঁজো।
কুড়িয়ে পাওয়া পত্রখানি, পুড়িয়ে দিও, উড়িয়ে দিও, তবুও ভেবো।
পত্রজুড়ে যা পুড়েছে, অগোচরে সবটা ছুঁয়ে একটু কেঁপো, একটু মেপো
কার কতটা পাওনা ছিল, হয়নি উসুল বাকির হিসেব, ফাঁকির হিসাব,
কান্না জলের আঁখির হিসেব, একটু ভেবো।
হয়নি পড়া পত্রখানি একটু পড়, হোক না জড়, হাহাকারের
পাহাড় জনম, হোক না বড়, তবুও তুমি একটু পড়, হয়নি পড়া
পত্রখানি, একটু পড়। পত্রজুড়ে তাকিয়ে দেখো,
একজনমের সবটা জলে, জীবন নদীর পাত্রখানি, কেমন করে
চুপটি করে রইল হয়ে পত্রখানি। তোমার আমার এই জীবনের
গল্পখানি, হয়নি জানা, হয়নি মানা, কেবল জানি হারিয়ে গেল,
হাহাকারের সকল ভুবন বাড়িয়ে গেল, মাড়িয়ে গেল, অপাঠ্য সেই পত্রখানি।
হারিয়ে গেল, শূন্য এবং পূর্ণ স্মৃতির পাত্রখানি, পত্রখানি, হারিয়ে গেল।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন