এ-অঞ্চলে কখনো আসিনি।
শীতের সকাল ফুঁড়ে, কাঁটা বাবলা বন জুড়ে
কালো পথ এখানে এনেছে।
দুদিকেই ধুলোমাখা জমি
দূরে, বহুদুরে খোড়ো গ্রাম,
মানুষেরা দীর্ঘ, পেশীময়,
পাতালে ডাঙ্গশ মেরে জল টেনে আনে-
পরিশ্রম করে দুটি হাত ভরে ভুট্টার দানায়,
বাঁচা কষ্টকর,
তবু বাঁচে।
পাহাড় পেঁচিয়ে পথ ওঠে,
পথ নামে নাভির গুহায়,
সেখানে সানুর শাস্তি মেখে উট চরে।
রঙের ছটায় জ্বলে রাজপুতানীর গূঢ় চোখ,
আলস্যের ছায়া নেই আরাবল্লী পাহাড়শ্রেণীতে।
ডোঙ্গরপুরের বাংলো থেকে দেখা যায় রাজবাড়ি
ভাঙ্গা দুর্গ, অসীম সৌষ্ঠব
হ্রদের, সেখানে আধো উড়ে পাখি পড়ে
হাজার হাজার হাঁস,
আমরাও উড়েই এসেছি-
অজানা অচেনা এই সীমান্ত-শহরে
ডোঙ্গরপুরের এই হিম-বাংলোঘরে আমরা একরাত কাটাবো।
তারপর উড়ে যাবো,
হাঁসের মতন নয়, জীবনে কখনো, জানি, এখানে আসবো না।
একদা ভীলের এই রাজধানী একবার গ্রহণ
করেছে আমাকে, তাই, মনে থেকে যাবে-
রাজপুতানীর আলগা দূরস্থিত হাসির মতন,
সরল সুন্দর ভীল-ডোঙ্গরপুর, কোলে রেখেছিলে-
একদিন, একরাত বাংলোঘরে, শীতের সন্ধ্যায়।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন