ভিতরে তো কতো জল, তবু অভিমান!
মাটির কলস কেন অভিমান করে?
গা-ভরা জলের ফোঁটা নামে এঁকেবেঁকে–
নিচে যেন নদী পাবে, প্রিয়মুখ পাবে,
বুকের দীঘিটি নোনা জলেই ভাসাবে
আজ। কেন? সুযোগ মিলেছে?
সব নয়, কিছু গাছ বড়ো অভিমানী।
চুম্বনে ওঠাও ছাল, রক্ত ঝরে যাবে,
রক্ত মানে আঠা, রস, তীব্র অভিমান।
কুঠারের হিংস্র হতে হবে না তোমাকে
আনমনা ছোঁয়া পেলে লজ্জাবতী লতা!
বৃষ্টির ভিতরে কিছু অভিমান আছে।
জলে প’ড়ে ঠোঁট ফোলায়, করে লুকোচুরি,
ক্ষেতে ও খামারে প’ড়ে সোঁদা গন্ধ তোলে।
কেন তার অভিমান? পতনে-পীড়নে?
এখন আমার কোনো অভিমান নেই।
অভিমান আগে ছিলো, অতল জলের
অভিমান আগে ছিলো, আজ জলও নেই।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন