আজ হিমুর ভীষণ মন খারাপ,
ঢাকা শহরের অলি গলিতে
প্রায় প্রতিদিনই ধারাবাহিক ভাবে কিছু না কিছু ঘটছে
কিন্তু তার কোনটিকেই, পরিষ্কার প্রস্ফুটিত উপস্থাপন করতে পারছেনা!
প্রথম ভেবেছিল হুমায়ুন স্যারের কবরে যাবে
এবং ঘটনা গুলো বর্ণনা করে আসবে।
কিন্তু সে যে হিমু,
হিমুরা প্রিয় মানুষের কাছে যায় না, হোক কবর!
এই বিষয়ে হিমুর পিতার উপদেশ মালায় পরিষ্কার বলা আছে,
বাবা হিমালয় কোন প্রকার প্রাণী কুলের জন্য কখনো মায়া জন্মাইবা না,
মায়া হইলো আত্মাকে ধোঁকা দেওয়ার মাধ্যম,
তুমি হইবে মহামানব, মহামানবদের আবেগ, অনুভূতি, মায়া, প্রেম, মহব্বত থাকিতে নাই
এবং দেখাইতে নেই।
তাই তোমার মন এবং শরীরের উপর বিশুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ থাকিতে হইবে।
সারাদিন এই নগরের অলি গলি ঘুরে, হাতে থাকা নীলপদ্ম গুলো নিয়ে,
বসন্তের রূপালি রাত্রের নীল জোৎনায় মধ্যরাতে হিমু গিয়ে বসলো ময়ূরাক্ষীর তীরে,
কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা ঘিরে আছে তাকে,
বসন্তের মৃদু বাতাস, রূপালি চাঁদের আলোয় নদীর জলের ছোট ঢেউ চিকমিক করছে
যেন প্রকৃতির অদৃশ্য কৃপায়, অপরূপ দৃশ্যায়ন।
ময়ূরাক্ষীর শীতলতায় কখন যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেল,
অনেক দিন এমন প্রশান্তির ঘুম যেতে পারেনি হিমু!
হিমু বুঝতে পারছে তার মস্তিষ্কের প্যারাইটাল লোভ খুব দ্রুত কাজ করছে,
কিছুক্ষণের মাঝে কাউকে দেখবে, বা কেউ তাকে ঢাকবে!
এর মাঝে দরজার ওপাশ থেকে, হিমু এই হিমু…
হিমু বুঝতে পেরেছে তার পিতা আজ উদয় হয়েছে,
কোন উপদেশ নিয়ে এসেছে…
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন