সহসা কৌতুকপ্রিয় আসমানে বিশুদ্ধ বিদ্যুৎ,
দেবদূতদের নিরর্থক হাসি, মাংসাশী হাওয়ার হা-পিত্যেশ।
সেই কবে নির্গমন শ্রাবণ দুপুরে, ভেজা মাথা,
সপসপে জামা, রক্তশূন্য সেবালোভী
রোগীর মতন দশ আঙুল; যাইনি
তেমর কারুর কাছে তুর্কী তোয়ালের
চাঞ্চল্যে শুকিয়ে দেবে মাথা। উপন্যাস পাঠাশেষে সে ঘুমায়,
স্বপ্নরিক্ত খাট, ভবঘুরে প্রজাপতি মুগ্ধাবেশে চাটে তাকে।
নিরুত্তাপ কলহে অথবা নগ্ন ঘুমে কেটে গেছে
বেখবর কতকাল। কবিতার নতুন আঙ্গিক
অধরা; সরস পাতাকাঙ্খী জিরাফের
গলা আর জেব্রার দুরন্ত দৌড়ে, আফ্রিকার কালো
স্তনে, ক্রেমলিন-তারকায়
নতুন আঙ্গিক খুঁজে সান্নিপাতে লবেজান আমি।
ব্যর্থতা নিছক উট উপবিষ্ট বালির উপর ব্যথাতুর।
তবুও তো ইচ্ছে হয়, সফেদ কাগজে
শুভেচ্ছা শব্দটি লিখে শক্র মিত্র সকলের বুক-
পকেট ভরিয়ে দিই, হাত রাখি সব ফুটোময়
এতিম খানার ছাদে, নিঝুম প্রহরে একা ফনিমনসার
বনে বিদ্ধ হ’য়ে হু হু বুকের শোণিতে কিছু কুসুম ফোটাই।
ভয়ে ভয়ে থাকি, যদি হারাই অরণ্যে পথরেখা।
অকস্মাৎ দারুণ খরায় এক ঘড়া টলটলে জল নিয়ে
কবিতার নতুন আঙ্গিক।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন