প্রিয় স্বাধীনতা
শামসুর রাহমান
মেঘনা নদী দেব পাড়ি
কলঅলা এক নায়ে।
আবার আমি যার আমার
পাড়াতলি গাঁয়ে।
আলুঘাটায় নেমে পায়ে
মাখব রাঙা ধুলো।
আমায় দেখে খিলখিলিয়ে
হাসবে শিমুলগুলো।
গাছ-ঘেরা ঐ পুকুরপাড়ে
বসব বিকেলবেলা।
দুচোখ ভরে দেখব কত
আলোছায়ার খেলা।
বাঁশবাগানে আধখানা চাঁদ
থাকবে ঝুলে একা।
ঝোপেঝাড়ে বাতির মতো
জোনাক যাবে দেখা।
ধানের গন্ধ আনবে ডেকে
আমার ছেলেবেলা-
বসবে আবার দুচোখ জুড়ে
প্রজাপতির মেলা।
পড়বে মনে দিঘির জলে
উথালপাথাল নাওয়া,
বাউড়ি বিলে খেলার ঝোঁকে
সরু ডিঙি বাওয়া।
হঠাৎ আমি চমকে উঠি
হলদে পাখির ডাকে;
ইচ্ছে করে ছুটে বেড়াই,
মেঘনা নদীর বাঁকে।
শত যুগের ঘন আঁধার
গাঁয়ে আজো আছে।
সেই আঁধারে মানুষগুলো
লড়াই করে বাঁচে।
মনে আমার ঝলসে ওঠে
একাত্তরের কথা,
পাখির ডানায় লিখেছিলাম-
‘প্রিয় স্বাধীনতা’।
কলঅলা এক নায়ে।
আবার আমি যার আমার
পাড়াতলি গাঁয়ে।
আলুঘাটায় নেমে পায়ে
মাখব রাঙা ধুলো।
আমায় দেখে খিলখিলিয়ে
হাসবে শিমুলগুলো।
গাছ-ঘেরা ঐ পুকুরপাড়ে
বসব বিকেলবেলা।
দুচোখ ভরে দেখব কত
আলোছায়ার খেলা।
বাঁশবাগানে আধখানা চাঁদ
থাকবে ঝুলে একা।
ঝোপেঝাড়ে বাতির মতো
জোনাক যাবে দেখা।
ধানের গন্ধ আনবে ডেকে
আমার ছেলেবেলা-
বসবে আবার দুচোখ জুড়ে
প্রজাপতির মেলা।
পড়বে মনে দিঘির জলে
উথালপাথাল নাওয়া,
বাউড়ি বিলে খেলার ঝোঁকে
সরু ডিঙি বাওয়া।
হঠাৎ আমি চমকে উঠি
হলদে পাখির ডাকে;
ইচ্ছে করে ছুটে বেড়াই,
মেঘনা নদীর বাঁকে।
শত যুগের ঘন আঁধার
গাঁয়ে আজো আছে।
সেই আঁধারে মানুষগুলো
লড়াই করে বাঁচে।
মনে আমার ঝলসে ওঠে
একাত্তরের কথা,
পাখির ডানায় লিখেছিলাম-
‘প্রিয় স্বাধীনতা’।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১২০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন