সেলিনা পারভীন স্বরণে
শামসুর রাহমান
তোমার দিকে উদ্যত হয়েছিল নেকড়েদের থাবা,
বারুদের গন্ধে ওরা মুছে দিতে চেয়েছিল
তোমার চৈতন্যপ্রবাহ থেকে ফুলের সৌরভের স্মৃতি,
তোমার দুটি চোখ থেকে ওরা
কেড়ে নিতে চেয়েছিল সকল স্বপ্নের অভ্র-রেণু,
ওরা তোমাকে হত্যা ক’রে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল
পচা, গলিত, দুর্গন্ধময় ভাগাড়ে। একাত্তরে ওদের
দূরচিসন্ধি সকল হ’য়ে মেতে উঠেছিল উলঙ্গ নৃত্যে!
কিন্তু, ওরা জানতো না,
তোমার মৃত্যুর মহিমা ওদের সকল ষড়যন্ত্র,
ওদের কশাইখানার বন্য উল্লাসকে মিথ্যা ক’রে দিয়ে
জেগে থাকবে বিপুল সূর্যোদয়ের মতো।
তোমার শরীরকে ওরা বিকৃত করেছে
বর্বর অস্ত্রাঘাতে; কিন্তু ওদের নোংরা, না-পাক হাত
একটি সামান্য আঁচড়ও কাটতে পারেনি তোমার ভাবমূর্তিতে,
আমরা আজো মুগ্ধাবেশে দেখি সেই মূর্তির গলায় দুলছে অমরত্বের মালা।
বারুদের গন্ধে ওরা মুছে দিতে চেয়েছিল
তোমার চৈতন্যপ্রবাহ থেকে ফুলের সৌরভের স্মৃতি,
তোমার দুটি চোখ থেকে ওরা
কেড়ে নিতে চেয়েছিল সকল স্বপ্নের অভ্র-রেণু,
ওরা তোমাকে হত্যা ক’রে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল
পচা, গলিত, দুর্গন্ধময় ভাগাড়ে। একাত্তরে ওদের
দূরচিসন্ধি সকল হ’য়ে মেতে উঠেছিল উলঙ্গ নৃত্যে!
কিন্তু, ওরা জানতো না,
তোমার মৃত্যুর মহিমা ওদের সকল ষড়যন্ত্র,
ওদের কশাইখানার বন্য উল্লাসকে মিথ্যা ক’রে দিয়ে
জেগে থাকবে বিপুল সূর্যোদয়ের মতো।
তোমার শরীরকে ওরা বিকৃত করেছে
বর্বর অস্ত্রাঘাতে; কিন্তু ওদের নোংরা, না-পাক হাত
একটি সামান্য আঁচড়ও কাটতে পারেনি তোমার ভাবমূর্তিতে,
আমরা আজো মুগ্ধাবেশে দেখি সেই মূর্তির গলায় দুলছে অমরত্বের মালা।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন