উড়ির চর
শামসুর রাহমান
ভালো ওদের লাগত জানি
খোলা আকাশ, হাওয়ার পরীর নাচ।
লাগত ভালো ছোট্র পাখির
ডাকাডাকি, সবুজ পাতার গাছ।
ওদের খোকা খুমুকণি
রোজ বানাত কত্ত বালুর ঘর।
হাওয়ায় ভরা ফসলজোড়া
জায়গাটাকে বলে উড়ির চর।
হঠাৎ রাতে কালো পাখার
ঝাপটা মারে সুলেমানের দেও।
উড়ির চরে আছড়ে পড়ে
অজগরের মতোই হাজার ঢেউ।
ঘর উড়ে যায়, দোর উড়ে যায়,
পানির তলায় ডোবে দূরের দ্বীপ।
কেয়ামতের আঁধার যেন
নামল এসে, কেউ জ্বালে না দীপ।
কোথায় গেল ধানভানা দিন?
কোথায় গেল কিস্সা-বলা রাত?
বুকের মানিক ঘুমায় এখন
পানির তলে, এ কোন তেলেসমাত?
পাখপাখালি ডাকে না আর,
কেউ শোনে না বাঁশি উড়ির চরে।
সাঁঝবেলাতে চাঁদকপালি
গোরুর বাছুর ফেরে না আর ঘরে।
আকাশ কাঁদে, পাতাল কাঁদে,
বাতাস কাঁদে, কাঁদে মাঠের ঘাস।
কোথাও কারো নেই যে সাড়া-
এখন শুধু লাশের পরে লাশ।
চিল শকুনের আওয়াজ আসে,
ফুঁসছে শুধু সাগরপারের ঢেউ।
দিনদুপুরে, রাতদুপুরে
উড়ির চরে রইল না আর কেউ।
খোলা আকাশ, হাওয়ার পরীর নাচ।
লাগত ভালো ছোট্র পাখির
ডাকাডাকি, সবুজ পাতার গাছ।
ওদের খোকা খুমুকণি
রোজ বানাত কত্ত বালুর ঘর।
হাওয়ায় ভরা ফসলজোড়া
জায়গাটাকে বলে উড়ির চর।
হঠাৎ রাতে কালো পাখার
ঝাপটা মারে সুলেমানের দেও।
উড়ির চরে আছড়ে পড়ে
অজগরের মতোই হাজার ঢেউ।
ঘর উড়ে যায়, দোর উড়ে যায়,
পানির তলায় ডোবে দূরের দ্বীপ।
কেয়ামতের আঁধার যেন
নামল এসে, কেউ জ্বালে না দীপ।
কোথায় গেল ধানভানা দিন?
কোথায় গেল কিস্সা-বলা রাত?
বুকের মানিক ঘুমায় এখন
পানির তলে, এ কোন তেলেসমাত?
পাখপাখালি ডাকে না আর,
কেউ শোনে না বাঁশি উড়ির চরে।
সাঁঝবেলাতে চাঁদকপালি
গোরুর বাছুর ফেরে না আর ঘরে।
আকাশ কাঁদে, পাতাল কাঁদে,
বাতাস কাঁদে, কাঁদে মাঠের ঘাস।
কোথাও কারো নেই যে সাড়া-
এখন শুধু লাশের পরে লাশ।
চিল শকুনের আওয়াজ আসে,
ফুঁসছে শুধু সাগরপারের ঢেউ।
দিনদুপুরে, রাতদুপুরে
উড়ির চরে রইল না আর কেউ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন