One more unfortunate
Weary of breath
Rashly importunate
Gone to her death.
–Thomas Hood
নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে।
নোটন নোটন পায়রাগুলি
খাঁচাতে বন্দী
দু-এক মুঠো ভাত পেলে তা
ওড়াতে মন দি’।
হায় তোকে ভাত দিই কী করে যে ভাত দিই হায়
হায় তোকে ভাত দেব কী দিয়ে যে ভাত দেব হায়
নিভন্ত এই চুল্লি তবে
একটু আগুন দে–
হাড়ের শিরায় শিখার মাতন
মরার আনন্দে।
দু-পারে দুই রুই কাৎলার
মারণী ফন্দি
বাঁচার আশায় হাত-হাতিয়ার
মৃত্যুতে মন দি’।
বর্গি না টর্গি না, যমকে কে সামলায়।
ধার-চকচকে থাবা দেখছ না হামলায়?
যাসনে ও-হামলায়, যাসনে।।
কান্না কন্যার মায়ের ধমনীতে আকুল ঢেউ তোলে, জ্বলে না–
মায়ের কান্নায় মেয়ের রক্তের উষ্ণ হাহাকার মরে না–
চলল মেয়ে রণে চলল!
বাজে না ডম্বরু, অস্ত্র ঝনঝন করে না, জানল না কেউ তা
চলল মেয়ে রণে চলল!
পেশির দৃঢ় ব্যথা, মুঠোর দৃঢ় কথা, চোখের দৃঢ় জ্বালা সঙ্গে
চলল মেয়ে রণে চলল!
নেকড়ে-ওজর মৃত্যু এল
মৃত্যুরই গান গা–
মায়ের চোখে বাপের চোখে
দু-তিনটে গঙ্গা।
দূর্বাতে তার রক্ত লেগে
সহস্র সঙ্গী
জাগে ধক ধক, যজ্ঞে ঢালে
সহস্র মণ ঘি!
যমুনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার বিয়ে
যমুনা তার বাসর রচে বারুদ বুকে দিয়ে
বিষের টোপর নিয়ে।
যমুনাবতী সরস্বতী গেছে এ পথ দিয়ে
দিয়েছে পথ, গিয়ে।
নিভন্ত এই চুল্লিতে বোন আগুন ফলেছে।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন