কোনো-যে মানে নেই, এটাই মানে।
বন্য শূকরী কি নিজেকে জানে?
বাঁচার চেয়ে বেশি বাঁচে না প্রাণে।
শকুন, এসেছিস কী-সন্ধানে?
এই নে বুক মুখ, হাত নে পা নে—
ভাবিস পাবি তবু আমার মানে?
অন্ধ চোখ থেকে বধির কানে
ছোটে যে বিদ্যুৎ, সেটাই মানে।
থাকার চেয়ে বেশি থাকে না প্রাণে।
ছুটেছে উন্মাদ, এখনও ত্রাণে
রেখেছে নির্ভয়, সহজযানে
ভাবে সে পেয়ে যাবে জীবনে মানে!
বিভোর মাথা কেউ খুঁড়েছে শানে
কিছু-বা ভীরু হাত আফিম আনে–
জানে না বাঁচে কোন্ বীজাণুপানে
কোনো-যে মানে নেই সেটাই মানে।
কোনো-যে মানে নেই সেটাই মানে।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন