একটি শীত ও সম্পর্কের রহস্যানুসন্ধান
শুকদেব মজুমদার
কুয়াশা মেখলা পথে, চলো, হারিয়ে যাই-
যতোক্ষণ না হাত বাড়িয়ে
সকালের সূর্য আমাদের পথ দেখায়, ততোক্ষণ
আমরা বাংলার অতি বাঙ্ময় হয়ে ওঠা
এ শীতের রহস্যানুসন্ধান করি।
গায়ে আমাদের তেমন গরম কাপড় নেই বটে
তবে আছে আমাদের হৃদয়ের উষ্ণতা-
উলেন জ্যাকেট অথবা চাদরের কাজ কি
করবে না তা অনেকটা?
আমাদের ভালোবাসার একাগ্র একমুখী দৃষ্টি
আলোহীন এ সাদাটে অন্ধকারে
পথ দেখাবে নিশ্চয় ।
কখনো হয়তো পথে আগুন পোহানোর আলোর
চকিত দেখা পাবো,
নাড়াপোড়ানোর বা খড়কুটো জ্বালানোর গন্ধ পাবো,
গন্ধ পাবো বাল্যের লোভে ভরা নাসারন্ধ্র আলোড়িত করা
ফোটে আসা খেজুরের রসের,
অথবা সরস চিতই পিঠে বা ভাপা পিঠের,
যার পাশাপাশি পাবো অবশ্যই আশা করি সুঘ্রাণ
অনাঘ্রাত শিশির স্নাত শিউলি ফুলের।
কখনো হয়তো শীতের হালকা কাপুনি
আমাদের অধিকতর কাছে আনবে, আর সে আকাঙ্ক্ষার
অমরা থেকে আসা দু-একটি ভালোবাসার কথা-
শিউলি ফুলের মতোই-
মনোগতভাবে আমাদের আরো কাছে আনবে;
শীতের রহস্যানুসন্ধান এভাবে হয়তো পরোক্ষে আমাদের
সম্পর্কের রহস্যানুসন্ধানের সহায়ক হয়ে উঠবে।
সূর্যের আলোর দাপটে কুয়াশা যখন
সাদা ঘোড়ার মতো সরে যাবে, তখন হয়তো
দেখবো- এক শীর্ণ নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা-
শিশির ভেজা চকচকে ঘাসে আবৃত সে তীর-
ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে যেখানে
হয়তো আবিষ্কার করবো একটু পরেই বর্ষার এক
ভরা নদী- বুকের মধ্যে আমাদের।
বাংলার শীত প্রকৃতির মায়ায় বা আকর্ষণে
কুয়াশা ঢাকা পথে আমাদের সচেতন হারিয়ে যাওয়া
অবচেতন থেকে উঠিয়ে আনবে যে
প্রকৃতি-অনুভব উপভোগ ও উপলব্ধি, তার তুলনা
পাওয়া ভার হবে- যার প্রভাবে
চিরায়ত বাংলার স্বাদ কি কিছুটা পাওয়া হবে না?
পাওয়া হবে না কি তার সূত্র ধরে মানবের
শাশ্বত সুন্দর সম্পর্কের অর্ণব থেকে উঠে আসা
কিছু মূল্যবান মুক্তো প্রবাল-
ভালোবাসার বন্দরে নামানোর মতো?
© শুকদেব চন্দ্র মজুমদার
১৯-১২-২০২৩
যতোক্ষণ না হাত বাড়িয়ে
সকালের সূর্য আমাদের পথ দেখায়, ততোক্ষণ
আমরা বাংলার অতি বাঙ্ময় হয়ে ওঠা
এ শীতের রহস্যানুসন্ধান করি।
গায়ে আমাদের তেমন গরম কাপড় নেই বটে
তবে আছে আমাদের হৃদয়ের উষ্ণতা-
উলেন জ্যাকেট অথবা চাদরের কাজ কি
করবে না তা অনেকটা?
আমাদের ভালোবাসার একাগ্র একমুখী দৃষ্টি
আলোহীন এ সাদাটে অন্ধকারে
পথ দেখাবে নিশ্চয় ।
কখনো হয়তো পথে আগুন পোহানোর আলোর
চকিত দেখা পাবো,
নাড়াপোড়ানোর বা খড়কুটো জ্বালানোর গন্ধ পাবো,
গন্ধ পাবো বাল্যের লোভে ভরা নাসারন্ধ্র আলোড়িত করা
ফোটে আসা খেজুরের রসের,
অথবা সরস চিতই পিঠে বা ভাপা পিঠের,
যার পাশাপাশি পাবো অবশ্যই আশা করি সুঘ্রাণ
অনাঘ্রাত শিশির স্নাত শিউলি ফুলের।
কখনো হয়তো শীতের হালকা কাপুনি
আমাদের অধিকতর কাছে আনবে, আর সে আকাঙ্ক্ষার
অমরা থেকে আসা দু-একটি ভালোবাসার কথা-
শিউলি ফুলের মতোই-
মনোগতভাবে আমাদের আরো কাছে আনবে;
শীতের রহস্যানুসন্ধান এভাবে হয়তো পরোক্ষে আমাদের
সম্পর্কের রহস্যানুসন্ধানের সহায়ক হয়ে উঠবে।
সূর্যের আলোর দাপটে কুয়াশা যখন
সাদা ঘোড়ার মতো সরে যাবে, তখন হয়তো
দেখবো- এক শীর্ণ নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছি আমরা-
শিশির ভেজা চকচকে ঘাসে আবৃত সে তীর-
ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে যেখানে
হয়তো আবিষ্কার করবো একটু পরেই বর্ষার এক
ভরা নদী- বুকের মধ্যে আমাদের।
বাংলার শীত প্রকৃতির মায়ায় বা আকর্ষণে
কুয়াশা ঢাকা পথে আমাদের সচেতন হারিয়ে যাওয়া
অবচেতন থেকে উঠিয়ে আনবে যে
প্রকৃতি-অনুভব উপভোগ ও উপলব্ধি, তার তুলনা
পাওয়া ভার হবে- যার প্রভাবে
চিরায়ত বাংলার স্বাদ কি কিছুটা পাওয়া হবে না?
পাওয়া হবে না কি তার সূত্র ধরে মানবের
শাশ্বত সুন্দর সম্পর্কের অর্ণব থেকে উঠে আসা
কিছু মূল্যবান মুক্তো প্রবাল-
ভালোবাসার বন্দরে নামানোর মতো?
© শুকদেব চন্দ্র মজুমদার
১৯-১২-২০২৩
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১২৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন