আমার প্রিয় জামা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ছেলেবেলার নদীর ধার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি
পায়ে ফুটেছে কাঁটা
এখন বয়েস আকাশের প্রান্তে, শরীরে পোকামাকড়ের কামড়
একটু একটু খুঁড়িয়ে চলা, নদী কি চিনতে পারছে আমাকে?
আমার পক্ষেও চেনা মুশকিল, কবে সে হারাল তার লাস্য!
একটু দূরে নতুন ব্রিজ, ঘোলাটে জলে পোঁতা কেন এত
খেজুরের ডাল?
একসময় ছিপ ফেলে তুলেছিলাম কালবোস মাছ, সে মাছ
আর বহুদিন দেখিনি
খলসে মাছেরাও কোন নিরুদ্দেশে চলে গেল?
নদী, তুমি আর কবিতায় নেই
ওসব ছেলেবেলার পদ্য! এই তো ঝমঝম করে যাচ্ছে ট্রেন
জানলায় নেই একটিও বিস্ময়মাখা মুখ
কলিমুদ্দি আর ফেরি নৌকো নিয়ে বসে থাকে না
খুব ফড়িং ওড়াউড়ি করত না একসময়?
কলসি কাঁখে বুক ভরা মধু বঙ্গের বধূ আজকাল
দেখা যায় না সিনেমাতেও
ননী পিসির মতন কেউ অভিমানে ঝাঁপ দেয় না মাঝরাত্তিরে
শুধু একটা মাছরাঙা ঘুরে ঘুরে কী খুঁজছে কে জানে
আমার পায়ে ব্যথা, হাঁটতে পারব না বেশিদূর
একটা ভাঙা ঘাটলায় জলে পা ড়ুবিয়ে কে বসে আছে?
ওই ডোরাকাটা নীল শার্টটা আমার বড় প্রিয় ছিল।
পায়ে ফুটেছে কাঁটা
এখন বয়েস আকাশের প্রান্তে, শরীরে পোকামাকড়ের কামড়
একটু একটু খুঁড়িয়ে চলা, নদী কি চিনতে পারছে আমাকে?
আমার পক্ষেও চেনা মুশকিল, কবে সে হারাল তার লাস্য!
একটু দূরে নতুন ব্রিজ, ঘোলাটে জলে পোঁতা কেন এত
খেজুরের ডাল?
একসময় ছিপ ফেলে তুলেছিলাম কালবোস মাছ, সে মাছ
আর বহুদিন দেখিনি
খলসে মাছেরাও কোন নিরুদ্দেশে চলে গেল?
নদী, তুমি আর কবিতায় নেই
ওসব ছেলেবেলার পদ্য! এই তো ঝমঝম করে যাচ্ছে ট্রেন
জানলায় নেই একটিও বিস্ময়মাখা মুখ
কলিমুদ্দি আর ফেরি নৌকো নিয়ে বসে থাকে না
খুব ফড়িং ওড়াউড়ি করত না একসময়?
কলসি কাঁখে বুক ভরা মধু বঙ্গের বধূ আজকাল
দেখা যায় না সিনেমাতেও
ননী পিসির মতন কেউ অভিমানে ঝাঁপ দেয় না মাঝরাত্তিরে
শুধু একটা মাছরাঙা ঘুরে ঘুরে কী খুঁজছে কে জানে
আমার পায়ে ব্যথা, হাঁটতে পারব না বেশিদূর
একটা ভাঙা ঘাটলায় জলে পা ড়ুবিয়ে কে বসে আছে?
ওই ডোরাকাটা নীল শার্টটা আমার বড় প্রিয় ছিল।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৭ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন